রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
ধর্মতত্ত্ব

বুদ্ধ ও ঈশ্বরতত্ত্ব

গৌতম বুদ্ধ কোনো ঈশ্বর, নবী বা ঈশ্বরের অবতার ছিলেন না। রাজকুমার হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ এবং নিজের চেষ্টায় জীবনের চরম সত্য জেনেছিলেন। বুদ্ধ মানবজাতির কোনো ত্রাণকর্তা ছিলেন না। তিনি বরং তাঁর অনুগামীদের স্বনির্ভর হতে এবং নিজেদের মুক্তির জন্য অধ্যবসায়ের সঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাঁর বক্তব্যই ছিল ‘নিজেকে চেষ্টা করতে হবে’। বুদ্ধের ধর্ম (ধম্ম) বা শিক্ষা শুধু পরমেশ্বরে অবিশ্বাসই নয়, বরং সৃষ্টিতত্ত্ব, আত্মার অমরত্ব, শেষবিচার ইত্যাদি বিষয়ের প্রতিও আস্থাহীনতা। এসব ছাড়াও বুদ্ধের মতবাদ এখনো বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি একটি উচ্চমার্গীয় আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলা ও মহৎ জীবনব্যবস্থা, যা সূক্ষ্ম নীতিবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বাসকে বুদ্ধ তাঁর ধর্মগ্রহণের ভিত্তি হিসেবে পরিপূর্ণরূপে বর্জন করেছেন। তাই বৌদ্ধধর্ম হচ্ছে একান্তই যুক্তিনির্ভর (বিভজ্জবাদ)। বুদ্ধ বলেছেন, ‘আমার কথা তোমরা গ্রহণ করবে কেবল যুক্তি দিয়ে বিচার করে, কেবল আমার প্রতি তোমাদের শ্রদ্ধার কারণেই নয়।’ তিনি বলেছেন, ‘এসো এবং দেখ (এহিপস্সিকো)’ এবং এভাবেই তিনি তাঁর মতবাদের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর