রবিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গার্মেন্ট নৈরাজ্য

সংঘাত কোনোভাবে কাম্য নয়

পোশাকশ্রমিকদের একাংশের বিক্ষোভ-ভাঙচুরের ঘটনায় ৩৪টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ২২টিতে ছুটি আর ১২টি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে অর্ডার পাওয়ার মৌসুম গার্মেন্টশিল্পে অস্থিরতা দেখা দেওয়ায় বাজার হারানোর আশঙ্কা করছে মালিকপক্ষ। অন্যদিকে সরকার ঘোষিত তৈরি পোশাকশ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা প্রত্যাখ্যান করে তা পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন পোশাকশ্রমিক সংগঠন। পোশাকশ্রমিকদের চলমান আন্দোলনে গুলি চালানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। স্মর্তব্য, মজুরি বাড়ানোর দাবিতে ২৩ অক্টোবর গাজীপুরে শ্রমিকরা আন্দোলন শুরু করেন। পরে মজুরি বোর্ডে সর্বনিম্ন মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঘোষণা করা হলে তা প্রত্যাখ্যান করে গাজীপুরের শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, দফায় দফায় সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি ও র‌্যাবের একাধিক টহল টিম কাজ করছে। গাজীপুরের কোনাবাড়ী শিল্পাঞ্চলে একটি কারখানার ভিতর পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে কোনাবাড়ী থানায় ৪ হাজার জনের বিরুদ্ধে মামলা করে ১১ জনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। নির্বাচনের আগে এ শিল্পে নৈরাজ্য সৃষ্টি যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বহিরাগতরা শ্রমিকদের উসকে দিয়ে কারখানা ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত করছে। গার্মেন্টশিল্পের অস্তিত্বের স্বার্থে বিরাজমান নৈরাজ্যের অবসান হওয়া উচিত। শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের যে বিরোধ, তা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর