সোমবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বিচারে শিশু হত্যা

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা থামান

গাজা শিশু হত্যার উপত্যকায় রূপ নিয়েছে। প্রতি ১০ মিনিটে এক শিশু প্রাণ হারাচ্ছে। গাজার বৃহত্তম চিকিৎসা কেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালের ভিতরে ইনকিউবেটরে ৪৫ নবজাতক রয়েছে। এ হাসপাতালে বর্তমানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে। ইসরায়েলি স্নাইপাররা হাসপাতালের চারদিকে অবস্থান নিয়েছে। আকাশ থেকে ড্রোন তাক করে আছে। হাসপাতাল থেকে কেউ বের হওয়ার চেষ্টা করলেই তাকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে সেনারা। তাদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। এমন কিছু মৃতদেহ হাসপাতাল চত্বরে পড়ে আছে। চিকিৎসকদের ভাষ্য, হাসপাতালের সর্বত্রই রক্ত। মেঝেতে রক্ত। তা পরিষ্কারও করতে পারছেন না তারা। ইসরায়েলি কিলিং মেশিন হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে এবং টেলিভিশনের পর্দায় তা দেখানো হচ্ছে। একের পর এক হত্যাকান্ড ঘটালেও সারা বিশ্ব নিশ্চুপ। ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্টের প্রধান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, বেসামরিক নাগরিকদের গাজা থেকে উৎখাত করার জন্য সেখানকার হাসপাতালগুলোকে নির্বিচারে লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। ইহুদিরা নিজেদের সভ্য মানুষ হিসেবে দাবি করে। বিশ্বে প্রথম আইনপ্রণেতা। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও সভ্যতার বিকাশেও তাদের অবদান অনন্য। তবে প্রতিহিংসাপরায়ণ জাতি হিসেবেও তারা নিন্দিত নানাভাবে। মানবপ্রেম ও ভালোবাসার মূর্ত প্রতীক খ্রিস্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট বা হজরত ঈসা (আ.) ইহুদিদের প্রতিহিংসার নির্মম শিকার হয়েছিলেন। খ্রিস্টানদের বিশ্বাস, ইহুদিরা মহাপুরুষ যিশুখ্রিস্টকে ক্রুশে বিদ্ধ করে নির্মমভাবে হত্যা করে। যে কারণে পরবর্তীতে ফিলিস্তিন থেকে উৎখাত করা হয় ইহুদিদের। মুসলমানরা এ উদ্বাস্তু জাতিকে বরং তাদের পবিত্র স্থানে এসে বসবাস করতে সহায়তা করেছে নানাভাবে। ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব বিনাশ করে তারা যে জিঘাংসার পরিচয় দিচ্ছে তা দুর্ভাগ্যজনক। এ ব্যাপারে বিশ্বসমাজের নির্বিকার ভূমিকা আরও লজ্জার। ফিলিস্তিনের গাজায় যে মানবতাবিরোধী অভিযান চলছে তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠায় ফিলিস্তিন ইসরায়েল দুই রাষ্ট্রব্যবস্থার বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর