বুধবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

চিনির বাজারে অস্থিরতা

দাম কমানোর উদ্যোগ নিন

চিনির বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। সরকার চিনি আমদানিতে শুল্ক কমানোর পর দাম কমার বদলে বাড়ছে ব্যবসায়ীদের একাংশের কারসাজির কারণে। গত এক মাসে কেজিপ্রতি চিনির দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। রাজধানীতে খুচরা বাজারে চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। পাড়া মহল্লায় দাম আরও বেশি। ব্যবসায়ীদের অভিমত ডলার সংকটের কারণে চিনির দাম বেড়েছে। গত ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আমদানিকৃত প্রতি টন কাঁচা চিনিতে ১ হাজার ৫০০ টাকা শুল্ক দিতে হচ্ছে, যা আগে ছিল ৩ হাজার টাকা। একইভাবে পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক ৬ হাজার থেকে কমিয়ে ৩ হাজার টাকা করা হয়েছে। চিনি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা দাম বৃদ্ধির অজুহাত হিসেবে বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ায় উচ্চমূল্যে চিনি কিনতে হচ্ছে, ফলে দেশের বাজারে প্রভাব পড়েছে। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডলারের বিপরীতে টাকার দাম ৩০ শতাংশ অবমূল্যায়ন হওয়ায় আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকে ডলারের সংকটের কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঋণপত্র খুলতেও অসুবিধা হচ্ছে। পরিণতিতে চিনির দাম বাড়ছে অনিবার্যভাবে। ২ নভেম্বর থেকে কাঁচা চিনি ও পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক অর্ধেক হ্রাস করা হয়েছে। এর ফলে প্রতি কেজি আমদানি খরচ দেড় থেকে ২ টাকা কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়েছে তার চেয়েও বেশি। বাজারে প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। চিনির দামের ঊর্ধ্বগতি ভোক্তাদের অস্বস্তিতে ফেলেছে। বিশেষ করে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে নতুন করে চিনির দাম বাড়ার প্রবণতা সরকারের জন্যও অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কেন চিনির দাম বেড়েছে এ ব্যাপারে সরকারের খতিয়ে দেখা উচিত এমনটিই মনে করেন বাজার বিশ্লেষকরা। চিনি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চিনি পরিশোধনকারীরা তাদের চাহিদার চেয়ে অনেক কম চিনি সরবরাহ করছে। এ বিষয়ে তদন্ত হওয়া উচিত। যেভাবে হোক দাম কমানোর উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর