বৃহস্পতিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নিত্যপণ্যের বাজার

সিন্ডিকেট ভাঙতে কঠোর হোন

দেশে আলুর উৎপাদন চাহিদার চেয়েও বেশি। চলতি বছর বিদেশে আলু রপ্তানি করাও হয়েছে। আশা করা হয়েছিল, কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রতি বছরই আলু রপ্তানি অব্যাহত রাখা হবে এবং প্রয়োজনে পরিমাণও বাড়ানো হবে। কিন্তু কিছু অসৎ ব্যবসায়ীর কারসাজিতে দেশের হিমাগারগুলোতে পর্যাপ্ত মজুদ থাকা সত্ত্বেও আলুর দাম প্রতি কেজি তিন থেকে সাড়ে তিন গুণ বেড়ে ৬৫ টাকায় পৌঁছেছিল। ডিমের দামও অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায় অসুভ সিন্ডিকেটের কারসাজিতে। পরবর্তীতে ডিম ও আলুর আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। অশুভ সিন্ডিকেট তাদের মুনাফার লকলকে জিহ্বা সংবরণ করতে বাধ্য হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল করতে ডিম, পিঁয়াজ ও আলু আমদানি অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছে নিত্যপণ্যের বাজার পর্যালোচনায় গঠিত জাতীয় কমিটি। চাহিদার তুলনায় ডিমের উৎপাদনে ঘাটতি না থাকলেও অদৃশ্য কারণে বাজারে অস্বাভাবিকভাবে এর দাম বেড়েছে। ডিম ও আলু আমদানির পর বাজারে দর স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। বাজার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কমিটি সদস্যরা আমদানি অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। চলতি মাসের শেষে বা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নতুন পিঁয়াজ এলে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা করছেন কমিটির সদস্যরা। এদিকে যাঁরা আমদানির অনুমতিপত্র নিয়েছেন তাঁরা কেন পিঁয়াজ আনছেন না, বিষয়টি কৃষি মন্ত্রণালয়কে খতিয়ে দেখতে পরামর্শ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তাদের মতে, সমন্বিত নীতিমালা, পণ্যের চাহিদা-মজুদ ও সরবরাহ সম্পর্কে প্রকৃত তথ্যের ঘাটতির ফলে ডিম, তেল, চিনি, পিঁয়াজসহ অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ভোক্তার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। চলতি বছরের প্রথম দিকে আলুর কেজি ছিল ২০ টাকা। আলু হিমাগারে ওঠার পর রপ্তানির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় হঠাৎ করে দাম বেড়ে যায়। ডিমের দাম বৃদ্ধির পেছনে বড় পোলট্রি ফার্ম ও পোলট্রি ফিড উৎপাদনকারীদের সিন্ডিকেট কাজ করছে কি না তদন্ত করে দেখা উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর