শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচনি তফসিল

ভোট উৎসবে জেগে উঠুক দেশ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা করা হয়েছে এবং ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে কাক্সিক্ষত ভোট উৎসব। তফসিল অনুযায়ী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। রিটার্নিং অফিসারের আদেশের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। এবার ভোট দেবেন ১১ কোটি ৯৭ লাখ ভোটার। ৩০০ আসনেই ভোট হবে ব্যালট পেপারে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। বিদ্যমান মতপার্থক্য নিরসনে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোকে সংঘাত পরিহার করে সমাধানের পথ অন্বেষণে সনির্বন্ধ আবেদন জানিয়েছেন। বলেছেন, অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য কাক্সিক্ষত অনুকূল রাজনৈতিক পরিবেশের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচন প্রশ্নে, বিশেষ করে নির্বাচনের প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতির প্রশ্নে দীর্ঘ সময় ধরে দেশের সার্বিক রাজনৈতিক নেতৃত্বে মতভেদ পরিলক্ষিত হচ্ছে। বহুদলীয় রাজনীতিতে মতাদর্শগত বিভাজন থাকতেই পারে। কিন্তু মতভেদ থেকে সংঘাত ও সহিংতা হলে তা থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বিরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারে। এ আশঙ্কার অবসানে সিইসি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন প্রশ্নে মতৈক্য প্রতিষ্ঠার তাগিদ দিয়েছেন। সংলাপের মাধ্যমে তা যে সম্ভব এমন আস্থাও রেখেছেন। নির্বাচন হলো দেশের মালিক মোক্তার জনগণের উৎসব। এ উৎসবের মাধ্যমে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব কাদের হাতে ন্যস্ত হবে তারা সে বিষয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্যের কারণে গত দুটি নির্বাচনে জনগণের উৎসব করার মতো পরিবেশ সৃষ্টি হয়নি। সে অনুদার মনোভাব থেকে বেরিয়ে এসে শতভাগ সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব পক্ষকে ভোটযুদ্ধে অংশ নেওয়ার সদিচ্ছা দেখাতে হবে। নির্বাচন বর্জনের অক্ষমতার বদলে জনগণের শক্তির প্রতিফলন ঘটাতে তাদের রায় মেনে নেওয়ার সাহস দেখাতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর