শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শুভ বুদ্ধির জয়

গার্মেন্টে শান্তি বজায় রাখতে হবে

শেষ পর্যন্ত শুভ বুদ্ধির জয় হয়েছে। দেশের কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত পোশাকশিল্পের অস্থিরতা কাটতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে খুলে দেওয়া হয়েছে সব কারখানা। শ্রমিকরাও কাজে যোগ দিয়েছেন যথারীতি। উৎপাদনও শুরু হয়েছে স্বাভাবিকভাবে। শ্রমিক- মালিক দুই পক্ষের সুমতিতে ফিরে এসেছে আগের পরিবেশ। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক অস্থিরতায় পোশাকশিল্প অধ্যুষিত এলাকার বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে সরকার। বেশ কয়েকদিনের অনিশ্চয়তার পর দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরে আসা নিঃসন্দেহে সুখবর। আশুলিয়া, সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পোশাক কারখানাগুলো বুধবার খুলেছে। বন্ধ থাকা ঢাকার মিরপুরের ১১ কারখানাসহ অন্যান্য জায়গার বন্ধ পোশাক কারখানাগুলো খুলেছে গতকাল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকাসহ ঢাকা ও আশপাশের জেলায় টহল দিচ্ছে ৩৩ প্লাটুন বিজিবি। কাজে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ এবং সুষ্ঠুভাবে কাজ করার বিষয়ে মালিকদের আশ্বস্ত করার পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ পোশাক কারখানা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শ্রমিক-কর্মচারী এবং মালিক যেন কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে সতর্ক থেকে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিক কর্মচারীর সংখ্যা ৪০ লাখেরও বেশি। আমাদের বিশ্বাস, শ্রমিকদের জীবন-জীবিকার সঙ্গে এ শিল্পের ভালোমন্দের সম্পর্ক থাকায় এযাবৎ সৃষ্ট অস্থিরতায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বাইরের উসকানি কাজ করেছে। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গার্মেন্ট রপ্তানিকারক দেশ। একমাত্র চীনের অবস্থান বাংলাদেশের ওপরে। স্বভাবতই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পে অস্থিরতা সৃষ্টিতে অতীতে বহুবার কলকাঠি নেড়েছে এবং আগামীতে নাড়তে পারে। তাই এ শিল্পের শান্তি রক্ষায় মালিক-শ্রমিক দুই পক্ষকে সতর্ক থাকতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর