শনিবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাইডেন-জিন পিং বৈঠক

বিশ্ব শান্তির জন্য সুখবর

বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনৈতিক এবং সামরিক শক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দুই প্রেসিডেন্ট বাইডেন-জিন পিংয়ের দীর্ঘ চার ঘণ্টার বৈঠকে কোনো ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। বৈঠকের পর উভয় প্রেসিডেন্টের আচরণেও স্পষ্ট হয়েছে ঘটা করে যে শীর্ষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল তা প্রত্যাশার ধারেকাছেও যেতে পারেনি। তবে দুই শীর্ষ নেতার বৈঠকে কোনো অর্জন নেই কিংবা বৈঠক শুধু অশ্বডিম্বই প্রসব করেছে এমন কথা বলারও সুযোগ আছে বলা মনে হয় না। সেদিক থেকে বৈঠকের ফলাফল ছিল মন্দের ভালো। সানফ্রান্সিসকোর প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণে ফিলোলি এস্টেটের একটি বাগানবাড়িতে এ বৈঠক হয়। বৈঠকে দুই শক্তিধর দেশের গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয় নিয়ে কথা হলেও কোনো ঐকমত্যের খবর আসেনি। এসব বিষয়ে কোনো পক্ষই স্পষ্ট কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি। ফলে আলোচনার ফলাফল শূন্য বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। বৈঠকে বিশ্বের দুই শক্তিধর দেশের মধ্যে সম্পর্কের পারদ গলে কি না, সেদিকে নজর ছিল বিশ্বের। কিন্তু সুদীর্ঘ বৈঠক যে সেভাবে ফলপ্রসূ হয়নি, তা স্পষ্ট হয় বাইডেনের কথায়। জিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই তাকে আবারও ‘স্বৈরশাসক’ বলে কটাক্ষ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেন, তিনি এখনো চীনা প্রেসিডেন্টকে ‘একনায়ক’ বলে মনে করেন, ওনাকে দেখে তা-ই মনে হয়! মানে, যেভাবে তিনি দেশ শাসন করছেন, চীনের মতো একটি কমিউনিস্ট দেশ, যার সরকারের গঠন আমাদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা, সে সব বিবেচনায় জিন পিং তো একজন স্বৈরশাসক। জিন পিংও এ সুযোগে এক চীন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পালনের তাগিদ দেন। বলেন, স্বাধীন তাইওয়ান নীতিকে সমর্থন না করার প্রতিশ্রুতি যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছিল তা তাদের পালন করা উচিত। বাইডেন কথা দেন তারা এক চীন নীতিতেই থাকবেন। জিন পিং-বাইডেনের বৈঠকের এ প্রতিশ্রুতি এশিয়া তথা বিশ্বশান্তির জন্য যে সহায়ক হবে তাতে সন্দেহ নেই।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর