শিরোনাম
সোমবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচন ও অর্থনীতি

অনিশ্চয়তার অবসানে সুফল আসবে

একদিকে নির্বাচনি প্রক্রিয়া অন্যদিকে লাগাতার হরতাল-অবরোধের কঠিন সময় পার করছে বাংলাদেশ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কেটে গেছে নির্বাচনসংক্রান্ত অনিশ্চয়তা। দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে কী ঘটতে যাচ্ছে সে বিষয়ে সংশয়ে ভুগছিলেন উদ্যোক্তারা। নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা এবং ভোটযুদ্ধে কোন কোন দল অংশ নিচ্ছে তা অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে ওঠায় স্থিতিশীলতার ব্যাপারে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এখন অনেকটাই নিশ্চিত। স্বভাবতই নেতিবাচক রাজনীতির বেড়াজাল ভেঙে শিল্পোদ্যোক্তারা এগিয়ে যাওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছেন। অবস্থাদৃষ্টে আশা করা হচ্ছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে রাজনীতির মাঠ অস্থিতিশীল হয়ে উঠলেও প্রান্তিক পর্যায়ে টাকার প্রবাহ বাড়বে। সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সারা দেশে একের পর এক প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব প্রকল্পের কাজ চলমান রেখে প্রান্তিক পর্যায়ে অর্থের সরবরাহ, অর্থের প্রবাহ বাড়ানোর ফলে সামষ্টিক অর্থনীতিতে এক ধরনের গতিসঞ্চার হবে। করোনা মহামারির পর ঘুরে দাঁড়ালেও বৈশ্বিক চাপে স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি। মূল্যস্ফীতির চাপ অব্যাহত থাকায় বছরজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা যায় কি না সংশয় ছিল। হরতাল-অবরোধ সত্ত্বেও মূল্যস্ফীতি হ্রাসের ইশারা পাওয়া যাচ্ছে শীতকালীন সবজির দাম কমে আসায়। ডিমের দামও কমেছে ২০ শতাংশ হারে। আশা করা হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এলে তার সুফল অনুভূত হবে অর্থনীতিতে। গার্মেন্ট শিল্পে যে অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছিল তা সফলভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে শ্রমিক-মালিক-সরকার ত্রিপক্ষীয় সমঝোতায়। আশা করা হচ্ছে, এর ফলে গার্মেন্ট রপ্তানি আগের চেয়ে বাড়বে। নতুন মজুরি বাস্তবায়ন হলে শ্রমিকদের জীবনমানের উন্নতি ঘটবে। যা দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে এক ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকারের সামনে এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান। এটি সম্ভব হলে অর্থনীতির যে ক্ষয়ক্ষতি ঘটছে তা ঘুরে দাঁড়াবে জোরেশোরে।

সর্বশেষ খবর