মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিস্তা সেচ প্রকল্প

সম্প্রসারিত অংশের কাজ দ্রুত শেষ করুন

তিস্তা সেচ প্রকল্পের সম্প্রসারিত অংশের কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না নানা জটিলতায়। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে সম্প্রসারিত অংশের কাজ শুরু হয়। ২২ মাসের ব্যবধানে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ না পাওয়ায় সময়মতো কাজ শেষ হবে না এবং সংশ্লিষ্ট এলাকায় এ বছরও সেচ মৌসুমে পানি স্বল্পতা থাকবে। স্মর্তব্য, তিস্তা সেচ প্রকল্পের পরিধি বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ওই উদ্যোগের অংশ হিসেবে ২০২১ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘তিস্তা সেচ প্রকল্পের কমান্ড এলাকার পুনর্বাসন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্প পাস হয়। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৪৫২ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় প্রকল্প যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। প্রকল্প এলাকার ১ লাখ ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে তৃণমূল পর্যায়ে সেচের পানি পৌঁছে দিতে ৭৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ সেকেন্ডারি আর টারসিয়ারি সেচ ক্যানেল নির্মাণে বিশেষ এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রতি বছর অতিরিক্ত প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হতো বলে মনে করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু পর্যাপ্ত বরাদ্দ না পাওয়ায় কাজের গতি শ্লথ হয়ে পড়েছে। ফলে সেচ ক্যানেল এলাকার মানুষের স্বপ্ন ফিকে হতে বসেছে। তিস্তা ব্যারাজের মাধ্যমে ৮৪ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার কথা থাকলেও সে লক্ষ্যমাত্রা কখনো পূরণ হয়নি। প্রতি বছর ২৫ থেকে ৩০ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধার বাইরে থাকছে। এমনিতেই পানির অভাবে শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা সেচ প্রকল্প টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়ছে। প্রকল্প এলাকায় সেচ দেওয়া নদীর প্রবাহমাত্রা ঠিক রাখতে দরকার ২০ হাজার কিউসেক পানি। এর মধ্যে সেচের জন্য দরকার ১৪ হাজার আর নদী রক্ষায় ৬ হাজার কিউসেক। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শুষ্ক মৌসুমে মাত্র ২ থেকে ৩ হাজার কিউসেক পানি পাওয়া যাচ্ছে। সেচ সুবিধা জিইয়ে রাখতে উজান থেকে পানি প্রত্যাহার নিশ্চিত করাও জরুরি।

সর্বশেষ খবর