শিরোনাম
বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ব্যাংকে আমানত বাড়ছে

অর্থনীতির জন্য সুলক্ষণ

ব্যাংকে আমানতের হার বাড়তে শুরু করেছে এবং এটি অর্থনীতির জন্য একটি আশাজাগানিয়া ঘটনা। লাগামহীন মূল্যস্ফীতির কারণে সুদের হার কম হওয়ায় অনেকেই ব্যাংকে টাকা রাখাকে অলাভজনক বলে মনে করে তা অন্যত্র বিনিয়োগ করছিলেন। কিন্তু আমানতের লভ্যাংশের হার বৃদ্ধি করায় অনেকে এখন ব্যাংকে টাকা রাখা নিরাপদ মনে করছেন। বর্তমানে ব্যাংক আমানতের ওপর ৯ শতাংশ হারে লাভ দেওয়া হচ্ছে। আগে দেওয়া হতো ৬ শতাংশ। অথচ মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ছিল ৭ শতাংশেরও ওপরে এর ফলে ব্যাংকে টাকা রেখে লাভবান হওয়ার বদলে লোকসানের কবলে পড়ছিল আমানতকারীরা। লভ্যাংশ বৃদ্ধি করায় সে লোকসানের কবল থেকে রেহাই মিলবে বলে আশা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ব্যাংকের দিক থেকে মুখ ফেরানোর প্রবণতাও রোধ করা সম্ভব হবে। আমানতকারীদের ব্যাংকমুখী করতে চলতি বছরের জুলাইয়ে সুদহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে আমানতের সুদহার উঠেছে সাড়ে ৯ শতাংশে। এতে ব্যাংকে টাকা রাখতে আগ্রহ বাড়ছে গ্রাহকদের। আমানতকারীদের অভিমত, জিনিসপত্রের দাম যে হারে বেড়েছে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমানতের সুদহার না বাড়ালে বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে যেত। ঋণ এবং আমানতের সুদহার সমান তালে বাড়ানো উচিত। যে হারে ঋণের সুদ বৃদ্ধি পায়, সে হারে আমানতের সুদ বাড়ে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নজর দেওয়া উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোতে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। আগের মাস আগস্টে ছিল ১৬ লাখ ১৭ হাজার কোটি টাকা। এক মাসের ব্যবধানে আমানত বেড়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। আর গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের তুলনায় আমানতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে সাড়ে ৯ শতাংশ। এ প্রবৃদ্ধিকে আরও বাড়াতে মূল্যস্ফীতি ঠেকানোর উদ্যোগ নিতে হবে। কারণ গত এক বছরে টাকার দাম ডলারের বিপরীতে হ্রাস পেয়েছে অন্তত ৩০ শতাংশ। এক বছর আগে ১ টাকায় যা কেনা যেত একই পরিমাণ পণ্য কিনতে অন্তত ৩০ শতাংশ বেশি লাগছে। যা অর্থনীতিকে বিশৃঙ্খল করে তুলছে। যা নিয়ন্ত্রণে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর