শিরোনাম
শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

যুদ্ধকে না বলুন

শান্তির জন্য সংঘাত এড়াতে হবে

যুদ্ধ ও হানাহানি মানবজাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলছে। প্রতিটি যুদ্ধ বিপুলসংখ্যক হতাহতই শুধু নয়, শত্রুতার যে বিষবৃক্ষ রোপণ করছে তার কুফল অনুভূত হয় বছরের পর বছর ধরে। প্রথম মহাযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল অকারণ সন্দেহকে সম্বল করে। বসনিয়ায় এক সার্বের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন অস্ট্রিয়ান যুবরাজ। এ জন্য সার্বিয়াকে দায়ী করা এবং সে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার মাধ্যমে প্রথম মহাযুদ্ধ শুরু হয়। কোটি কোটি মানুষ সে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। এ যুদ্ধ উসমানীয় সাম্রাজ্যের পতন ঘটায়। ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার বীজ রোপিত হয় ফিলিস্তিনসহ আরব ভূখণ্ড তুরস্কের উসমানীয় খেলাফতের হাত থেকে ব্রিটিশদের হাতে চলে যাওয়ায়। জার্মানির মানুষ ওই যুদ্ধে তাদের পরাজয়ের জন্য দায়ী করত ইহুদিদের এবং এ কারণে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শুরু হয়। যে যুদ্ধে ৬০ লাখ ইহুদি প্রাণ হারায়। আজকের ফিলিস্তিন সংকটের নেপথ্যে রয়েছে ওই ঘটনা। যুদ্ধ ও হানাহানি থেকে মানবজাতিকে রক্ষার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, মানবজাতি ও মানবতা রক্ষায় সব ধরনের যুদ্ধ ও সংঘাতকে বিশ্বের দৃঢ়ভাবে না বলতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বুধবার সন্ধ্যায় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘জি২০ লিডারস সামিট ২০২৩’-এ বক্তৃতাকালে উল্লেখ করেন, যুদ্ধজনিত নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বব্যাপী মানবিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে এবং হচ্ছে। দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে আমরা ফিলিস্তিনে ৫ হাজারের বেশি নিরপরাধ-নিষ্পাপ শিশুসহ হাজার হাজার নারী-পুরুষকে নির্মম হত্যা ও মর্মান্তিকভাবে গণহত্যা করতে দেখছি। এসব জঘন্য হত্যাযজ্ঞ গোটা বিশ্বকে হতবাক করেছে এবং বিশ্বব্যাপী দুর্দশাকে আরও তীব্র এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে মন্থর করেছে। জি২০ লিডারস সামিটে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিশ্বশান্তির জন্য তাৎপর্যের দাবিদার। শান্তি চাইলে অবশ্যই সংঘাতের অকাম্য পথ থেকে মানবজাতিকে সরে আসতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর