শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গাজায় যুদ্ধবিরতি

শান্তির জন্য চাই ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা

দেড় মাস যুদ্ধ শেষে ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে শুক্রবার সকাল থেকে। গাজায় ইহুদিবাদীদের ধ্বংসযজ্ঞ চলার পর চার দিনের এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে কাতারের মধ্যস্থতায়। কাতারের পক্ষ থেকে আশা করা হয়েছে, যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানো সম্ভব হবে। স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেছেন তারা। হামাস তাদের হাতে আটক ৫০ জিম্মিকে প্রাথমিকভাবে মুক্তি দেবে এবং এর বিনিময়ে গাজায় জ্বালানি ও ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর সুযোগ দেবে ইসরায়েল। তাদের হাতে আটক কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকেও মুক্তি দেওয়া হবে। এ চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার গাজায় ভয়ংকর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২০ জন নিহত এবং ৩০০ স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে। কাতারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ১৩ জনকে প্রাথমিকভাবে মুক্তি দেওয়া হবে, যাদের সবাই একই পরিবারের নারী ও শিশু। চার দিনের মধ্যে মোট ৫০ জনকে মুক্তি দিতে সম্মত হওয়ায় অবশ্যই প্রতিদিন বেশ কিছু বেসামরিক নাগরিককে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। হামাসও যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তির বিষয় নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সশস্ত্র শাখা কাসেম ব্রিগেড বলেছে, শুক্রবার সকালে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। এ সময় হামাস ও ইসরায়েল সব ধরনের সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা থেকে বিরত থাকবে। ইসরায়েল হামাসের হামলার মধ্য দিয়ে দুই পক্ষের যুদ্ধ শুরু হয়। নিহত হয় ১২০০ ইসরায়েলি যাদের মধ্যে ২০০-এর বেশি সৈন্যও রয়েছে। গত ৭৫ বছরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এটি ফিলিস্তিন শুধু নয়; আরবদের সবচেয়ে বড় আঘাত। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে তাকে নির্মম বললেও কম বলা হবে। যদি এ যুদ্ধ চলতে থাকে তাহলে তা আরও সম্প্রসারিত হওয়ার সুযোগ থাকবে। ইসরায়েলের নিরাপত্তার স্বার্থেই ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সমঝোতায় আসা জরুরি। ইসরায়েলের পাশাপাশি ১৯৪৭ সালের জাতিসংঘ প্রস্তাব অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন প্রতিষ্ঠা মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তির নিশ্চয়তা দিতে পারে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর