সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মানুষ কবে মানুষ হবে!

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান চৌধুরী

মানুষ কবে মানুষ হবে!

এক. এমন একটা লেখা পেলাম ‘আপনি যাকে আপনার পৃথিবী বানিয়ে রেখেছেন তার পৃথিবীর কোথাও হয়তো আপনি নেই!’ লেখাটা মনকে খুব আহত করল, মনে হলো কী যেন একটা না বলা কষ্টের কথা লেখাটার মধ্যে আছে, ক্ষতবিক্ষত ক্লান্ত দেহে অদেখাকে দেখার তীব্র ব্যাকুলতা আছে। এটা পরখ করতে যে মানুষটা নিজেকে অন্ধকার ঘরে ছুড়ে ফেলে ভাবছে, এক টুকরো আলো নিয়ে সেই মানুষগুলো হয়তো তাকে  পথ দেখাতে আসবে, এক দিন যাদের সে অন্ধকার থেকে তুলে নিয়ে এসে পথ দেখিয়েছিল। তাদের জন্য সে নিজের মাথাসমেত দেহটাকে নুয়ে সিঁড়ি বানিয়েছিল, বুটের পর বুটের আঘাতে মেরুদন্ডটাতে চির ধরিয়েছিল, তারপরও তাদের পৃথিবীর মাথা বানিয়ে মনে মনে আত্মতৃপ্তিতে ভোগে স্বপ্নের জাল বুনেছিল,  আমি হয়তো পৃথিবী হতে পারেনি, কিন্তু তারা আমার পৃথিবী হয়েছে। হয়তো তাদের মনের স্পেসের কোনো না কোনো ছোট একটা জায়গায় আমি আছি। কিন্তু এ বাণিজ্যিক পৃথিবীতে, যেখানে প্রতিদিন বাজারে মানুষ মনকে বিক্রি করে দিয়ে মুখোশ পরেই আনন্দে ডুবছে, সেখানে এত সহজ সরল ভাবনার মূল্য কি আর আছে। ইমোশনের মতো ফালতু একটা জিনিস নিয়ে মানুষ এখন মুখ চেপে চেপে হাসে, ইমোশনের ভিতরের পুঞ্জীভূত কান্নাগুলো দেখার যে সময় আর কারও নেই। স্বার্থ এমন একটা বিষয়, যেখানে মাথা আর মনটা দেহের অংশ হিসেবে থাকে না, বরং এ দুটোর মৃত্যু হয়, অসার দেহটা থাকে, সেটাই ক্রীতদাসের হাসি হাসতে হাসতে যারা টেনে নিয়ে যায় তাদের মানুষ বলে পরিচয়টা হয়তো থাকে, অথচ মানুষ নামের মানুষটাই তাদের ভিতরে থাকে না।

পৃথিবীটা খুব অদ্ভুত, যাদের আমরা পৃথিবী ভাবি, তারা ততক্ষণ আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করে, তাদের পৃথিবীতে আমাদের একটা জায়গা আছে, যতক্ষণ আমরা তাদের স্বার্থ পূরণের মতো লোভনীয় একটা বস্তু হিসেবে থাকি অথচ এটা হিপোক্রেসি হিপোক্রেসি খেলার মতো। অনেকটা হাওয়াই মিঠাইয়ের মতো, মুখে দিলে মিষ্টি মিষ্টি মুখ, সেটা বোঝার আগেই মিষ্টির ভিতরে তলিয়ে যায়। অনেকটা জোঁকের মতো, খুব গোপনে শরীরের রক্তগুলো শোষকের মতো চুষে নেয় অথচ বুঝতে দেয় না। সেটা যখন পিঁপড়া হয় তখন মিষ্টির রসে ডুবে এতটাই মিষ্টি খেয়ে ফেলে যে, তখন সেটাই তাদের মৃত্যুর কারণ হয়। ভোগবাদিতা ঠিক এমনই, পৃথিবীর সব সম্পদ পকেটে ভরতে ভরতে এতটাই মানুষ ডুবে যায় যে, ভুলে যায় এ সম্পদ তার নয়, ওই আমজনতার যাদের প্রতিদিনের ঘাম ঝরানো রক্তক্ষরণে এগুলো জন্ম নেয়, ভাগ্য বড় অদ্ভুত, সাধারণ মানুষের ভাগ্যে সেই সম্পদের বিন্দুমাত্র জোটে না অথচ সেটা চলে যায় লোভীদের হাতে। তবে এর ফলাফল কখনো ভালোও হয় না। চোখের সামনে মানুষ বিচার করে, চোখের বাইরে প্রকৃতি বিচার করে, সেটা কেউ বোঝে, কেউ বোঝে না।

আমি একটু অন্যভাবেই বিষয়টাকে ভাবি, আমি অনেক ছোট, অনেক বোকা, অনেক বড় হাস্যরসের চরিত্র, আমি মাটিতে পা রেখেই চলি, হাওয়ায় উড়ি না, কারণ মাটিতে বাস্তবতা থাকে, মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে গিয়ে কাদামাটিকে শরীরে জড়িয়ে একটা অন্যরকম সুখ থাকে, হাওয়ায় শূন্যতা থাকে, যেখানে বাস্তবতার বদলে ভ্রান্তি বিলাস থাকে, যে বিলাসে কাপুরুষদের মুখ থাকে। মুখ লুকানোর মুখোশ থাকে। কারও পৃথিবীতে আমি থাকলেও কি, না থাকলেও কি?

সেটা নিয়ে ভাবি না। আমার মনটাই আমার পৃথিবী, সেটা আমার মতো করেই ভাবতে পারে। আমি একটা উপমা, আমার মধ্যে আপনি আছেন, আপনারা আছেন, যদিও একেকজনের পৃথিবীটা একেকরকম, একেক রঙের। অদ্ভুত মনে হলেও এটাই সত্য, আপনি যাদের আপনার পৃথিবী বানিয়ে রেখেছেন তাদের হয়তো নিজের কোনো পৃথিবীই নেই, তারা রাজপ্রাসাদে বাস করে, রাজার মতো চলে কিন্তু তাতে কী লাভ, চোখে ঘুম নেই, মনে শান্তি নেই, ঝাড়বাতির আলোর নিচে তাদের শরীরটা আছে, তারা নিজেরাই নেই। অথচ তাদের কাছে অবাঞ্ছিত, মূল্যহীন, ছাপোষা একটা মানুষ হয়েও আপনার নিজের একটা জৌলুসবিহীন পৃথিবী আছে, সেটা কোনো রাজপ্রাসাদ না, ঝাড়বাতির কৃত্রিম আলোর ঝলকানি সেখানে নেই, সেখানে অভাব আছে বলেই সুখ আছে, মনে প্রশান্তি আছে, চোখে প্রাণজুড়ানো ঘুম আছে। ওরা আপনাকে মনে রাখেনি, আপনি ওদের কখনো ভুলে যাননি। আপনার পৃথিবীতে তারা আগেও ছিল, এখনো আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। আপনি আপনার নিজের মতো, তাদের মতো না। তারা আছে, তাদের মেরুদন্ড নেই। হামাগুড়ি দিয়ে তারা নিজেদের হারানো মেরুদন্ড খোঁজে, তারা একজন-দুজন না, অনেক অনেকজন। চার দেয়ালে বন্দি সেই মানুষগুলো উদ্ভিদ থেকে প্রাণভরে অক্সিজেন নিতে না পারলেও আইসিইউর কৃত্রিম অক্সিজেন নিয়ে বেঁচে আছে, ইনকিউবিটরের ভিতরে বেঁচে থাকার অভিনয় করে যাচ্ছে অবিরত! সেটা মানুষের জীবন না, মাকড়সার জীবন। ঠিক মাকড়সার জীবন না, ছারপোকার মতো কাপুরুষের জীবন, যারা মানুষের রক্ত সামনে এসে খায় না, সন্তর্পণে খায়।

দুই. পৃথিবীতে লজিক বলে একটা কথা আছে, যেটা জার্মানদের স্নো হোয়াইট রূপকথায় কথা বলা এক আয়নার মতো। যে আয়না সব সময় সত্য কথা বলত। কথিত আছে, জার্মানির বাভারিয়া অঞ্চলের লোর এলাকার মানুষেরা একসময় বিশ্বাস করত যে, আয়না সর্বদা সত্য কথা বলে। যে গল্পটার কথা ভাবছি, সেটাও হয়তো সেই আয়নার মতো, যেটা গল্পের বাইরের সত্যকে অতল গহ্বর থেকে টেনে তুলে মাটির পৃথিবীতে আনতে চায় কিন্তু আনার আগেই ভুলে যায়। ঠিক গল্পটা সেভাবে মনে পড়ছে না, যেভাবে মনে পড়ার কথা ছিল। কারণ যতই বয়স বাড়ছে, মুখস্থ বিদ্যা ততই কমছে, তবে গল্পটা আগে নেহাতই গল্প বলে মনে হলেও এখন বুঝি গল্পটা আসলে গল্প ছিল না, বরং গল্পের পেছনে অনেক সত্য লুকিয়ে ছিল। এটা নিছক গল্প, তবে গল্পের মতো নয়, গল্পের চেয়ে আরও বেশি কিছু। গল্পটা অনেকটা এমন : একদল ডাকাত ব্যাংকে ডাকাতি করতে এলে ব্যাংকের ম্যানেজারসহ প্রায় সবাই একরকম বিনা বাধায় তাদের ডাকাতি করার সুযোগ করে দিল। আনুমানিক ১ ঘণ্টা ডাকাতি করার পর প্রায় ১ কোটি টাকা নিয়ে ডাকাতরা দ্রুত সেই স্থান ত্যাগ করল। ডাকাতরা ডাকাতি করে চলে যাওয়ার আরও ১ ঘণ্টা পর ব্যাংকের ম্যানেজার পুলিশে খবর দিলেন তার ব্যাংকে ডাকাতি হয়েছে, ডাকাতরা প্রায় ৭০ কোটি টাকা ডাকাতি করে নিয়ে পালিয়েছে। পরের দিন খুব ফলাও করে লিড নিউজ হিসেবে খবরটা পত্র-পত্রিকায় বের হলো- অমুক শহরের অমুক ব্যাংক থেকে ৭০ কোটি টাকা ডাকাতি হয়েছে, নিরীহ ব্যাংকের ম্যানেজারসহ সবাই খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। ডাকাতের সরদার পত্রিকা পড়তে গিয়ে একটু হেচকা টান খেল, আরে এ কেমন অদ্ভুত ঘটনা, আমরা ১ কোটি টাকা ডাকাতি করলাম আর পত্রিকার খবর বলছে ৭০ কোটি টাকা! কোনোভাবেই ডাকাতের সরদার ইকুয়েশনটা মেলাতে পারছে না। না, মেলাতে পারারই কথা, ডাকাতদের পেশিশক্তি থাকলেও লজিক থাকে না, আয়না ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ক্ষমতা থাকে, আয়নায় মুখ দেখার সাহস থাকে না। কিন্তু লজিক বলে বিদ্যমান কথাটা তো উড়িয়ে দেওয়া যায় না। লজিকও খুব অদ্ভুত, চোর-পুলিশের মতো খেলতে ভালোবাসে। তবে সত্যের পেছনের গভীর সত্যটা দেখাতে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয় না। যাদের মাথায় লজিক থাকে তারা হয়তো লোকলজ্জায় কথাটা বলতে পারে না, কিন্তু বুঝতে পারে পৃথিবীতে সত্যকে আমরা যেভাবে দেখি সত্য তার চেয়েও বেশি নির্মম, বেশি অসহায়। আমরা আসলে কেউ সত্য দেখি না, সত্যের মুখোশ পরা মিথ্যাকে দেখি।

এখানে মূল বিষয় হলো- ডাকাতরা ১ কোটি টাকা ডাকাতি করে পালিয়ে গেলেও ব্যাংকের ম্যানেজারসহ বাকিরা ৬৯ কোটি টাকা পুলিশকে খবর দেওয়ার আগেই ব্যাংক থেকে সরিয়ে ফেলেছিল। বিষয়টা খুব সহজ ডাকাতরা যত বড় না ডাকাত ছিল তাদের চেয়েও বড় ডাকাত ছিল ব্যাংকের ম্যানেজারসহ বাকিরা। আর আমজনতা যারা খেয়ে না খেয়ে দিনের পর দিন কষ্টের টাকা ব্যাংকে রেখেছিল তারা সারা জীবনের মতো সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। পৃথিবীতে ছিঁচকে চোরের চেয়ে বড় চোর থাকে, ডাকাতের চেয়েও বড় ডাকাত থাকে, ছোট ছোট চোর-ডাকাতরা মাছ ধরার জালে আটকে যায়, বড় বড় চোর-ডাকাতরা সারা জীবন ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যায়। এটা একটা উদাহরণ মাত্র, এমন লজিক আশ্রিত অনেক মিথোলজি একটু মাথা খাটালেই ইকুয়েশন আকারে বের হয়ে আসতে পারে। তবে সেটা ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরি হয়ে থাকলেই ভালো, আগ্নেয়গিরি ঘুম থেকে জেগে উঠলে নিজের মুখের ওপর পড়া মুখোশটা গলে গিয়ে অমানুষের মুখটা সহসাই বেরিয়ে আসতে পারে। সেটা দেখার চেয়ে না দেখাটাই ভালো, লজিকটা পেছনের পকেটে মানিব্যাগ হিসেবে ঢুকিয়ে রাখাটাই হয়তো সবচেয়ে ভালো সল্যুশন। আবার সবচেয়ে খারাপ সল্যুশনও।

তিন. সময় বদলেছে অথচ মানুষগুলো বদলায়নি। চরিত্রগুলো যেমন ছিল তেমনই আছে। তবে সময় পেরিয়ে গেছে অনেকটাই। মনে পড়ছে ফেলে আসা রাজা-মহারাজাদের জলসা ঘরের কথা। যেখানে পেটের দায়ে মানুষ থেকে নর্তকীতে রূপান্তরিত হওয়া রূপবতীদের রাখা হতো। জলসাঘরের মাথায় ঝুলানো ঝাড়বাতির আলোয় অন্ধকার জীবনের গভীর অনুভূতিতে হারিয়ে যাওয়া সেসব নর্তকীর কষ্টগুলো খাঁচায় বন্দি পাখির মতো আছড়ে পড়ত। পায়ের নূপুরের ঝনঝনানিতে নাচের আসরে সরাবে বুঁদ হয়ে থাকা হাসিমুখে রাজাদের আনন্দ দিত যারা, তাদের নিজেদের জীবনে কোনো আনন্দ ছিল না। রাজপ্রাসাদে রাজার বউ হয়ে রানিতে রূপান্তরিত হওয়া মানুষটা সোনা-রুপার অলংকারে নিজেকে ঢেকে রাখত, একটাই আশা ছিল তাদের, যদি রাজারা জলসাঘর ছেড়ে রাজমহলমুখী হন। দিনের পর দিন রানিরা রাতের ঘুমকে বিসর্জন দিয়ে রাজার জন্য প্রতীক্ষা করেছেন, চোখের পানি ফেলেছেন কিন্তু জলসাঘরের রঙিন পৃথিবীর ভ্রান্তি বিলাস রানিদের সব স্বপ্নকে ভেঙে দিয়েছে। রাজপ্রাসাদের প্রহরীরা সব দেখেছে, সব বুঝেছে কিন্তু রাজপ্রাসাদের বাইরে বেরিয়ে এসে সত্যটা কখনো বলতে পারেনি। সত্য বলা যে খুব কঠিন, মিথ্যা বলা যে খুব সহজ। হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন, ‘এখানে অসতেরা জনপ্রিয়, সৎ মানুষেরা আক্রান্ত’? কথাটা যেন সব সময়ের জন্য সত্য।

সময়ের চাকা ঘুরেছে, পৃথিবী এখন আরও বেশি করে সভ্যতার মেকআপ পরে জলসাঘর হয়েছে। সেই জলসাঘরকে ঘিরে কেউ এখনো রাজা, কেউ এখনো রানি, কেউ এখনো নর্তকী, কেউ এখনো প্রহরী, কেউ এখনো প্রজা। সবকিছুই রং বদলেছে, তবে মুখ দেখে চেনা কঠিন কে কোন রং মেখেছে। প্রাচীন শব্দের জায়গায় তথাকথিত আধুনিক শব্দটা যুক্ত হয়েছে, মানুষগুলো যেভাবে বন্দি ছিল সেভাবেই থেকে গেছে। সত্যগুলো প্রতিদিন জন্ম নেয়, প্রতিদিন কেউ জানার আগেই মরে যায়, তবে মিথ্যারা বেঁচে থাকে সত্যের মতো করেই। জলসাঘরের ক্রীতদাস চেনা এখন খুব কঠিন, কারণ সবাই যে খুব বেশি ভদ্রলোক।

চার. সংসারের বোঝা টানতে টানতে এক দিন নিঃস্বার্থ মানুষগুলো নিজেরাই সংসারের বোঝা হয়ে যায়। এ ব্যস্ত শহরে স্বার্থ যেখানে বেচাকেনা হয় সেখানে এমন মানুষদের কথা ভাবার সময় কি আর এখন কারও আছে? সবাই তো দৌড়াচ্ছে, যে যার মতো করে, দুদন্ড বসারও কারও সময় নেই। মাটিতে বসে রাতের আকাশে বোকার মতো তারা গুনতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলত যে লোকটা, সে এখন ঝাপসা চোখে আর আকাশ স্পষ্ট দেখতে পায় না, মনে হয় শীতের কুয়াশা চোখে ঘর বেঁধেছে। হাইপাওয়ারের চশমাটাও যেন এখন আর চোখের বোঝা টানতে পারছে না। চেনা চেনা মানুষ, চেনা চেনা শহর, এখন খুব অচেনা অচেনা লাগছে। সময় দৌড়াচ্ছে, মানুষও দৌড়াচ্ছে।  সময় আর মানুষ দুটোই যেন রোবট হয়ে গেছে আর মানুষের মনটাকে বিক্রি করে দিয়েছে ফেলে আসা সময়ের কাছে। ঝলমলে আলোর নিচে বসেও মনে হচ্ছে, নিজেকে মানুষ ভাবছি অথচ মানুষটার মনটাই নেই। সে মনটায় ভালোবাসা নেই। মানুষ কবে মানুষ হবে সেটাই যে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন!                                                                                                                                                 

লেখক : শিক্ষাবিদ, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর

সর্বশেষ খবর