সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হরতাল অবরোধ

সংঘাত এড়ানোর পথ খুঁজুন

হরতাল অবরোধে সাধারণ মানুষের যে সমর্থন নেই তা বহুল প্রমাণিত। নির্বাচনের বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে মতদ্বৈততা থাকলেও জীবন-জীবিকায় অন্তরায় সৃষ্টি করে এমন কোনো কর্মসূচির পক্ষে তারা নেই। হরতাল অবরোধের নামে একের পর এক যানবাহনে আগুন এবং ককটেল ফুটিয়ে সাধারণ মানুষকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে নির্বাচন-বিরোধীদের পক্ষ থেকে। এর ফলে জনজীবনে সৃষ্টি হয়েছে ভোগান্তি। দূরপাল্লার যানবাহন হরতাল অবরোধে চলাচল করতে পারছে না আগুনসন্ত্রাসের ভয়ে। চলাচল করলেও ভাড়া লাগছে দ্বিগুণ থেকে তিন গুণ। রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা তাদের ক্রয় করা পণ্য সময়মতো পাচ্ছেন না। সরবরাহকারী ও পণ্য উৎপাদনকারীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। হরতাল ও অবরোধের কারণে কাঁচামাল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ায় শিল্প খাতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। কভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবের পর উদ্যোক্তাদের কাছে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে সৃষ্ট ক্ষতি অসহনীয় হয়ে উঠছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজার, সোয়ারীঘাট, বাদামতলী এবং ওয়াইজঘাটের ব্যবসায়ীদের অভিমত, হরতাল-অবরোধে তারা বড় অঙ্কের ক্ষতির মুখে পড়েছেন। বিক্রি ৪ ভাগের ১ ভাগে নেমে এসেছে। গত ৩১ অক্টোবর থেকে হরতাল অবরোধ শুরু হয়। ইতোমধ্যে ১৪ দিনের অবরোধের কবলে পড়েছে দেশ। ছোট-বড় ও মাঝারি উদ্যোক্তারা বর্তমান অর্থনৈতিক সংকটের কারণে সময়মতো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না। এ অবস্থা এড়াতে রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত সাংঘর্ষিক কর্মসূচির বদলে সংলাপের মাধ্যমে নিজেদের মতপার্থক্য কমিয়ে আনা। নির্বাচন কমিশন বলেছে, প্রধান বিরোধী দল নির্বাচনে অংশ নিলে তারা শিডিউল পুনর্বিন্যাসে রাজি। বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে কীভাবে সংঘাত এড়ানো যায় সেটি সংশ্লিষ্ট সবার কর্তব্য বলে বিবেচিত হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর