শিরোনাম
সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নারী নির্যাতন

অসভ্য মানসিকতা দূর হোক

একটি জাতি কতটা সভ্য তা নারীদের প্রতি তাদের সম্মান ও সদাচরণ থেকে বিবেচনা করা যায়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে এ ভূখন্ডের মানুষের ইতিহাস খুব একটা ভালো নয়। গত তিন দশকের বেশি সময় ধরে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ দ্রুতপদে এগিয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী পদটি গত ৩২ বছর ধরে অলংকৃত করে আছেন নারীরা। সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদটিও তাঁদের হাতে। এ মুহূর্তে সংসদে সরকারি দলের নেতা, উপনেতা, বিরোধীদলীয় নেতা, স্পিকার পদটি নারীর ক্ষমতায়নের বার্তাই দেয়। দেশের অর্থনীতিতেও নারীদের অংশগ্রহণ খুবই অগ্রগণ্য। প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক খাতে নিয়োজিতদের সিংহভাগই নারী। এটি হলো মুদ্রার একদিক। অন্যদিক হলো বাংলাদেশ বাল্যবিয়ের দিক থেকে শিরোপা অর্জনের কসরত করছে বিশ্ব সমাজে। নারী নির্যাতন এ দেশের পুরুষতান্ত্রিক সমাজের অনুষঙ্গ। ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাসে সারা দেশে ২ হাজার ৫৭৫ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৩৯৭ জন। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১১৫ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৩১ জনকে। ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন ১২ জন এবং ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ৮৯ জনের সঙ্গে। এ ছাড়া হত্যা করা হয়েছে ৪৩৩ জনকে। রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে ২৩১ জনের। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ২১১ জন। আত্মহত্যা করেছেন ২০৭ জন। অপহরণের শিকার হয়েছেন ১২২ এবং যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ১৪২ জন। রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন পরিষদের লিগ্যাল এইড সম্পাদক রেখা সাহা। নারী নির্যাতন বন্ধে সভ্য মানুষ হওয়ার প্রচেষ্টাকে জোরদার করতে হবে। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার অবসান ঘটাতে হবে। পুরুষ নারী বিভাজনের বদলে নিজেদের মানুষ হিসেবে ভাবার সক্ষমতা গড়ে তোলা জরুরি।

সর্বশেষ খবর