মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

কাঞ্চন ব্রিজের টোল

ম্যানুয়াল পদ্ধতি ও অনিয়ম বন্ধ হোক

কাঞ্চন ব্রিজে নিয়মবহির্ভূতভাবে টোল আদায় করা হচ্ছে গত সাত বছর ধরে। চট্টগ্রাম বন্দর ও সিলেটের সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনে ২০০৬ সালে উদ্বোধন করা হয় কাঞ্চন ব্রিজ। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় উদ্বোধনের পরবর্তী ১০ বছর এ ব্রিজের ওপর চলাচলকারী যানবাহনের কাছ থেকে টোল আদায় করা হবে। সে হিসাবে ২০১৬ সালে টোল আদায় বন্ধ হওয়ার কথা হলেও অদৃশ্য কারণে তা চালু আছে আরও সাত বছর ধরে। দুটি করে চারটি টোল কালেকশন বুথ থেকে ম্যানুয়ালি টোল আদায় করায় প্রায় প্রতিদিনই যানজটের উপদ্রব সহ্য করতে হচ্ছে পরিবহন চালক ও যাত্রীদের। কাঞ্চন ব্রিজে যে টোল আদায় হচ্ছে, তাতে কোনো নিয়মশৃঙ্খলা মানা হচ্ছে না। এ ব্রিজে নেই ডিজিটাল টোল নির্ধারণী বোর্ড। কোন গাড়ির কত টাকা টোল এ সংবলিত ডিজিটাল বোর্ড না থাকায় ক্ষতি হচ্ছে রাজস্ব খাতের। পরিবহনের টোল হার বোর্ডে দেওয়া থাকলেও অনেক গাড়ি থেকে টাকা আদায় করছে না কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে আছে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা। একই সঙ্গে অধিকাংশ প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, পিকআপ ও সরকারি পরিবহন টোল আওতার বাইরে থাকে। বিশেষ করে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের গাড়ির টোল নেওয়া হয় না। একই সঙ্গে তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার কোনো পরিবহনেরও টোল আদায় হয় না। কাঞ্চন ব্রিজে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরও টোল আদায় এবং এ বিষয়ে যথেচ্ছ নিয়মে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্রিজ ব্যবহারকারীরা। তাদের মতে, টোল আদায়ে ডিজিটাল পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত। স্বজনপ্রীতিরও অবসান ঘটাতে হবে। কাঞ্চন ব্রিজে পরিবহন চালকদের একাংশকে ঢালাওভাবে সুবিধা দেওয়া হবে এবং অন্যদের কাছ থেকে টোল আদায় করা হবে এটি কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। টোল আদায় করতে হলে সব পরিবহনকে তার আওতায় আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে দুই নিয়ম বাঞ্ছনীয় নয়।

সর্বশেষ খবর