বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভর্তি পরীক্ষা

শিক্ষার মান বাড়াতে হবে

এইচএসসির ফলাফল প্রকাশের পরপরই জোরেশোরে শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি। সন্দেহ নেই যারা নিশ্চিত ছিলেন ভালো ফলাফলে তাদের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে এসএসসি পরীক্ষার পর থেকেই। বিশেষ করে মেডিকেল ও প্রকৌশলে ভর্তির আগ্রহ যাদের, তারা পাঠাভ্যাস থেকে নিজেদের বাদ রাখেননি এক দিনও। চলতি বছর সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ১৩ লাখ ৫৭ হাজার ৯১৫ জন। সারা দেশে এ শিক্ষার্থীদের ভর্তিযোগ্য আসনের সংকট না থাকলেও পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ পাবে না সবাই। ফলাফলে দেখা গেছে, সারা দেশে চলতি বছরে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯২ হাজার ৫৯৫ জন। এ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য থাকে মূলত সরকারি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ওইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভর্তিযোগ্য আসন প্রায় ৭০ হাজার। সে হিসাবে সব জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীরও আসন হবে না এসব বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজে। তাই বাধ্য হয়ে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি হতে হবে সারা দেশের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি-বেসরকারি কলেজ, আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ফাজিল মাদরাসা আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, সারা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রথমবর্ষে ভর্তিযোগ্য আসন রয়েছে মাত্র ৫৭ হাজার ৯৯টি। দেশে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে এমবিবিএস কোর্সে চলতি বছর ১ হাজার ৩০টি আসন বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে সরকারি মেডিকেল কলেজে আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৮০টিতে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতেই ভর্তিচ্ছুদের বড় প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে। এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা গত বছরের চেয়ে কম হওয়ায় অন্যবারের তুলনায় এ বছর স্বপ্ন ভঙ্গের পরিমাণ কম হবে। ভর্তি পরীক্ষায় যে অস্বস্তিকর প্রতিযোগিতা চলে প্রতি বছর, তা এড়াতে জিপিএ-৫ এর হার আরও সীমিত করা উচিত। পাশাপাশি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও উন্মুক্ত বিদ্যালয়ের অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার মান বাড়াতেও উদ্যোগ নিতে হবে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর