বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা

শান্তির সম্ভাবনা এখনো অনিশ্চিত

গাজায় যুদ্ধ বিরতির মেয়াদ আরও দুই দিন বাড়ানোর খবর নিঃসন্দেহে বিশ্ববাসীর কাছে একটি স্বস্তির খবর। কিন্তু এ যুদ্ধ বিরতির ফিলিস্তিনে শান্তি আসবে কি না তা নিয়ে সংশয় কম নয়। হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলিদের মুক্তির পর তেলআবিব সর্বাত্মক হামলা চালাবার পথ বেছে নেয় কি না সেটি এখন দেখার বিষয়। ইসরায়েলের ওপর হামাসের অপরিণামদর্শী হামলা চালানোকে অজুহাত হিসেবে খাড়া করে গত দেড় মাসের বেশি সময় ধরে হামাস নিধনের নামে প্রকারান্তরে ফিলিস্তিনি নিধন চলছে। শুধু গাজায় নয়, পশ্চিমতীরের ফিলিস্তিনি বসতিতেও ইসরায়েল হামলা চালাচ্ছে। জাতিসংঘের সংস্থা ওসিএইচএ বলছে, ৭ অক্টোবর থেকে অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৫৫ শিশুসহ অন্তত ২১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। গাজা আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা এক শিশুসহ অন্তত আটজন নিহত হয়েছেন। পূর্ব জেরুজালেম এবং পশ্চিমতীরের চারদিকে ইসরায়েলি পুলিশের কড়া পাহারা রয়েছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি চললেও পশ্চিমতীর শান্ত নেই। রোজই ভাঙচুর চলছে। গত সোমবারও পাঁচজন ফিলিস্তিনি খুন হয়েছেন জেনিন এলাকায়। জখম হয়েছেন ১৮ জন। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা সংকটজনক। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে জেনিনে ভাঙচুর চালিয়েছে পুলিশ। ইয়ুতমা গ্রামেও সামরিক অভিযানে তিনজন ফিলিস্তিনি খুন হয়েছেন। গাজার মতো পশ্চিমতীরের হাসপাতালগুলোতেও হানা দিচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। সোমবার জেনিনের মূল হাসপাতাল চত্বরে ঢুকে পড়ে সেনাবাহিনীর ট্যাংক। অ্যাম্বুলেন্সগুলোতেও তল্লাশি চালায় সেনারা। সেখানে দুজনকে আটক করা হয়েছে। মনে হচ্ছে ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের সব ধরনের প্রতিরোধ ভেঙে চুরমার করতে চাচ্ছে। পশ্চিমতীর থেকে তারা কোনো আঘাত না পেলেও সেখানেও চালানো হচ্ছে ধ্বংসযজ্ঞ। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন তাদের পক্ষে থাকায় তারা এ সুযোগে ফিলিস্তিনিদের একেবারে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এ বিষয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিষ্পৃহ ভূমিকা দুর্ভাগ্যজনক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর