বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

জলবায়ু পরিবর্তন

বিপদ এড়াতে চাই ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস

জলবায়ু পরিবর্তন মানব জাতির জন্য বিপর্যয় ডেকে আনছে। বিশেষ করে সমুদ্র তীরবর্তী দেশগুলোর জন্য তা ইতোমধ্যে সাক্ষাৎ সমস্যা হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম শিকার দেশের উপকূলীয় এলাকায় জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। জলাবদ্ধতা কেড়ে নিচ্ছে জীবন জীবিকার সব উপায়। লবণাক্ততার কারণে ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদন কমছে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা মনে করেন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ২০৫০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বে ২১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে। এরমধ্যে বাংলাদেশে প্রায় দুই থেকে চার কোটি মানুষ এ ধরনের বিপদের মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে উপকূলীয় অঞ্চলে ২০ শতাংশ মানুষের বসবাস। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জলবায়ুবিষয়ক এক সম্মেলনে দেওয়া ভিডিও বিবৃতিতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মানুষের জীবনযাপনে যে প্রভাব পড়ছে তা মোকাবিলায় পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন। এগুলো হচ্ছে : প্রথমত. নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং নিয়মিত অভিবাসনের জন্য গ্লোবাল কমপ্যাক্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা। দ্বিতীয়ত. জলবায়ু অভিবাসীদের অভিঘাত এবং ক্ষতির প্রসঙ্গে নির্দিষ্ট সমাধান খুঁজে বের করার জন্য ‘ক্লাইমেট জাস্টিজ লেন্সের’ মাধ্যমে আমাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করা উচিত। তৃতীয়ত. অভিবাসনকে জলবায়ু অভিযোজন কৌশল হিসেবে দেখার জন্য স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রস্তুত হতে হবে, যেখানে এটি সর্বোত্তম সম্ভাব্য সমাধান হিসেবে প্রমাণিত হয়। চতুর্থত. জলবায়ু অভিবাসী বিশেষ করে নারী, শিশু এবং অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীর পুনর্বাসনে বিদ্যমান আন্তর্জাতিক সুরক্ষা মানগুলো পর্যালোচনা করতে হবে। পঞ্চমত. সংকীর্ণ রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে একটি গঠনমূলক অবস্থান তৈরি করে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে গবেষণা করতে হবে। জলবায়ু অভিঘাতের মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক। মানব জাতির অস্তিত্বের স্বার্থে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপদ এড়াতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর