শুক্রবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিনিয়োগে বিসংবাদ

প্রতিবন্ধকতা দূর করা জরুরি

বাংলাদেশের বিনিয়োগ নীতি যে উদার সে বিষয়ে কারও সংশয় নেই। ১৭ কোটি মানুষের এই দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারও বেশ বড়। বাংলাদেশ বিশ্বের দুই বৃহত্তম জনসংখ্যা অধ্যুষিত দেশ ভারত ও চীনের ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী। অবকাঠামোগত দিক থেকে বাংলাদেশ সমমানের অনেক দেশের চেয়ে এগিয়ে। এ দেশে রয়েছে সস্তা শ্রম। যা ব্যবহার করে লাভবান হতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। বাংলাদেশে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে একটি দল ক্ষমতায়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য অনন্য নজির হিসেবে তা বিবেচিত। তারপরও বিনিয়োগ খরা চলছে বাংলাদেশে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ যে হারে আকর্ষণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বদলে উভয় প্রকার বিনিয়োগই কমেছে। শুধু বিদেশি বিনিয়োগই এক বছরের ব্যবধানে কমেছে ৭ শতাংশ। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রকাশিত বিনিয়োগসংক্রান্ত একাধিক প্রতিবেদনে বিনিয়োগের বাধা চিহ্নিত করা হলেও তা দূর করে বিনিয়োগ আকর্ষণে কার্যকর তেমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই বিনিয়োগ কাক্সিক্ষত হারে বাড়েনি। বিনিয়োগের যে তিনটি প্রধান বাধা চিহ্নিত করা হয়েছে তা হলো- ডলারের বাজারে অস্থিরতা, বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা। এ ছাড়া রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে যে বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে তাকেও বিনিয়োগের অন্যতম বাধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব বাধা দূর না হওয়ায় দেশে বিনিয়োগ পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। অর্থনীতিবিদদের মতে, দেশে গ্যাস কিংবা বিদ্যুতের সংযোগ পেতে মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয়। অনেক রাস্তাঘাট, এক্সপ্রেসওয়ে, টানেল, ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠা করা হলেও এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা প্রয়োজন সেগুলো থেকে দেশ এখনো অনেক দূরে। বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকার মান পড়ে যাওয়ায় অর্থনীতিতে চাপ বেড়েছে। এতে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। ফলে এ সময়ে ইক্যুইটি বিনিয়োগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। বিনিয়োগ খরা মেটাতে অপসারণে সঠিক পথে হাঁটতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর