মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভাঙাচোরা সড়ক

কর্তৃপক্ষের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙুক

রাজধানীর বেশির ভাগ রাস্তাই ভাঙাচোরা। প্রধান সড়কগুলো বাদে অন্যান্য সড়কের সংস্কার কাজে কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টির অভাব নাগরিক ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি বছর বর্ষা মৌসুম যেমন বিলম্বে এসেছে তেমন শেষও হয়েছে বিলম্বে। বর্ষায় পানি জমলে পিচের রাস্তা নাকাল অবস্থা ধারণ করে। বর্ষার পর শরৎ শেষে শীত মৌসুমে হাতছানি সত্ত্বেও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। গুলশান-বনানী-বারিধারা লেকড্রাইভ সড়কটি ২০১৮ সালে নির্মাণের পর গত পাঁচ বছর আর সংস্কার করা হয়নি। সড়কটির অধিকাংশ স্থানে পিচ উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল, কাভার্ড ভ্যান ও প্রাইভেট কার চলাচল করে ওই সড়কে। মরিয়ম টাওয়ার থেকে গুদারাঘাট পর্যন্ত সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেলেও তা দেখার কেউ নেই। মেরুল বাড্ডার পোস্ট অফিস গলির সড়কটির মেইন রোড থেকে পাঁচ তলা কাঁচাবাজার পর্যন্ত অসংখ্য খানাখন্দ। একই অবস্থা ডিআইটি ৪ নম্বর সড়ক ও বাজার রোডের। মাদারটেক-খিলগাঁও সড়কের অধিকাংশ স্থানে পিচ উঠে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। একই অবস্থা বেটার লাইফ হাসপাতাল থেকে দক্ষিণ বনশ্রী টেম্পো স্টেশন সড়কটিরও। সিপাহিবাগ বাজার-গোড়ান বাজার সড়কটির অনেক স্থানে ছোট-বড় গর্ত রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পিচ উঠে গেছে। এ ছাড়া আট মাসের বেশি সময় ধরে হাতিরঝিলের রামপুরা থেকে মগবাজার রেলক্রসিং পর্যন্ত সড়কের একটি লেন খোঁড়াখুঁড়িতে তছনছ। রাস্তাটি কেটেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। সম্প্রতি মাটি ফেলা হলেও রাস্তাটির কোথাও উঁচু কোথাও নিচু। রাজধানীর বেশির ভাগ সড়কের অবস্থাই এই সড়কগুলোর মতো। নাগরিকদের জন্য যা বিড়ম্বনা সৃষ্টি করছে। উৎসাহ জোগাচ্ছে যানজটে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙবে এমনটি দেখতে চায় নগরবাসী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর