শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ফিলিস্তিনে নিধনযজ্ঞ

যুদ্ধাপরাধ চলছে গাজায়

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নিধনযজ্ঞ চলছে নির্বিচারে। শুধু গাজা উপত্যকা নয়, পশ্চিম তীরেও চলছে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইহুদি দখলদারদের চড়াও হওয়ার ঘটনা। ইসরায়েলি চণ্ডাল নীতিতে গাজা উপত্যকা মানবেতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার সময়ের দিকে চলে যাচ্ছে- এমন সতর্কতা উচ্চারণ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যুক্তরাষ্ট্র এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ আঁটলেও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতার দায়ে জড়িতদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বলেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন, যেসব ব্যক্তি ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের শান্তি, নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতা নষ্টের সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভিসানীতি প্রযোজ্য হবে। কোনো ব্যক্তি পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা দেখালে, জরুরি সেবা পেতে ও মৌলিক চাহিদা পূরণে বাধা দিলে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন। দক্ষিণ গাজায় ইসরায়েলি হামলা চলছে প্রায় বিরামহীনভাবে। গত বুধবার পর্যন্ত গাজায় ১৬ হাজার ২৪৮ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে থাকা ও নিখোঁজরা এই হিসাবের বাইরে। ইসরায়েল বলেছে, হামাস নির্মূলের অভিযান শুরুর পর গাজা উপত্যকায় সবচেয়ে বড় হামলা চালানো হচ্ছে। তাদের স্থলবাহিনী মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে পৌঁছে শহরটি ঘিরে ‘হামাসের’ বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। সঙ্গে বিমান বাহিনীও হামলায় যোগ দেয়। অন্যদিকে হামাসের সশস্ত্র উইং আল কাসাম ব্রিগেড বলেছে, তাদের যোদ্ধারা ইসরায়েলি সেনাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দক্ষিণ কমান্ডের প্রধান এক বিবৃতিতে বলেছেন, স্থল অভিযান শুরুর পর এ মুহূর্তে সবচেয়ে তীব্র লড়াই চলছে। উত্তরে গাজা শহরের পাশে হামাস নিয়ন্ত্রিত অবস্থানে এবং পূর্বে শুজাইয়াতেও দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। হামাস আট ইসরায়েলি সৈন্যকে হত্যা ও ২৪টি সামরিক যান ধ্বংস করেছে। দুই মাসের যুদ্ধে গাজায় দুর্ভিক্ষাবস্থা চলছে। খাদ্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় খাদ্যাভাবে প্রাণ হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছে গাজাবাসী। যা যুদ্ধাপরাধের শামিল।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর