শিরোনাম
শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তপনা

এ বোঝা থেকে নিষ্কৃতি পেতে হবে

মিয়ানমারের কলহপ্রিয় জনগোষ্ঠী রোহিঙ্গারা সেনা অভিযানের মুখে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আত্মকলহে লিপ্ত। এই দুর্বিনীতদের কারণে কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। মঙ্গলবার কক্সবাজারের উখিয়ায় তিন রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে চারজন নিহত হয়েছে। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধে উপজেলার ১৫, ১৭ ও ৬ নম্বর শিবিরে এ হামলা চালানো হয়। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে দুই রোহিঙ্গা। পুলিশ বলছে, হামলাকারীরা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সন্ত্রাসী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি-আরসার সদস্য। এক দিনে চার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী, রোহিঙ্গা ও পুলিশের ভাষ্য, ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার এবং সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভয়ভীতি ছড়াতে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। দুই দিন আগে একটি হত্যা মামলায় বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনিসহ তার ৪৯ জন সহযোগীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে আরসার ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল ১৫ নম্বর জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন আরএসও সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। পশ্চিমা বিশ্ব ও জাতিসংঘের অনুরোধ এবং দেশের ভিতরে পরজীবী একটি সম্প্রদায়ের প্রচারণায় ২০১৭ সালে ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়। তারপর থেকে মাদক ব্যবসা, মানব পাচার, অস্ত্র ব্যবসাসহ নানা কর্মে জড়িত এই আশ্রিতরা। আরব বিশ্বে যেমন ইহুদিদের ঠেলে দিয়ে ইসরায়েল নামের বিষফোড়ার সৃষ্টি করা হয়েছে, তেমন রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে বসে পশ্চিমা শক্তির শিখণ্ডী হিসেবে কাজ করছে। স্বদেশে ফিরে যেতেও অস্বীকৃতি জানাচ্ছে তাদের মদদে। রোহিঙ্গা নামের বোঝা ঘাড় থেকে নামাতে সরকারকে কূটনৈতিক পর্যায়ে আরও সক্রিয় হতে হবে। যেসব দেশ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরার ব্যাপারে বাগড়া দিচ্ছে সেই অতি দরদিদের দেশে তাদের পাঠানোর ব্যাপারে সাফ সাফ বলতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর