শনিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মিগজাউমের প্রভাব

দেশজুড়ে শীতের মিষ্টি ছোঁয়া

ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম বাংলাদেশে আঘাত হানেনি। সন্দেহ নেই এটি একটি স্বস্তির খবর। তবে মিগজাউমের প্রভাবে বৃহস্পতিবার সারা দেশে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছে। ইলশেগুঁড়ির প্রাধান্যই লক্ষ্য করা গেছে অগ্রহায়ণের অসময়ের বৃষ্টিতে। এ সময়ের এমন বৃষ্টিতে ইলিশ মাছ খুব বেশি ধরা পড়বে তা বলার অবকাশ আছে বলে মনে হয় না। তবে অসময়ের এ বৃষ্টি সাময়িকভাবে হলেও ফুলকপি, পাতাকপিসহ শীতের অন্যান্য সবজির বেশ ক্ষতিই করবে। হরতাল অবরোধে বিপর্যস্ত কৃষকের দুঃখ আরও বাড়াবে। ভোক্তাদের জন্যও বাড়াবে বিড়ম্বনা। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিপাতে শীত নামতে শুরু করেছে সারা দেশে। বৃহস্পতিবার রাতে সারা দেশে তাপমাত্রা কমেছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল কক্সবাজারে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়ায় ১৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে যশোরে ৯৬ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টিপাত হয়ছে ৪৪ মিলিমিটার। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে বুধবার রাত থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। তবে এর প্রভাবে শীতকালীন সবজির কোনো ক্ষয়ক্ষতি না হলেও তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পায়। বুধবার রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়ে খেটে খাওয়া মানুষ। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না কেউ। সেই সঙ্গে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। ফলে শীত কাপড়ের দোকানে ভিড় করছেন সব বয়সের মানুষ। মুন্সীগঞ্জে দ্বিতীয় দফার টানা বর্ষণে আলু চাষিদের চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ। বিশ্বজুড়ে আবহাওয়ার অশুভ পরিবর্তন আমাদের দেশকে বাড়তি ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। ষড়ঋতুর এ দেশ পরিণত হয়েছে গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত মৌসুমের দেশে। ঘূর্ণিঝড়, টর্নেডো, বন্যার প্রকোপ বৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথাযথ প্রস্তুতিও থাকতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর