সোমবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মহাসড়ক অপদখল

কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙুক

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জায়গা দখল করে অর্ধশতাধিক দোকান গড়ে ভাড়া দিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। রাজনৈতিক পরিচিতির সুবাদে তারা ভাড়া বাবদ লাখ লাখ টাকা আয় করছেন এবং এতে বিঘ্নিত হচ্ছে যানবাহন চলাচল। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার এলাকার ওই অর্ধশতাধিক দোকান কাঁচামালের আড়ত, হোটেলসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। বুড়িচং উপজেলা পরিষদের একজন ভাইস চেয়ারম্যান যিনি একই সঙ্গে সরকারি দলের নেতাসহ প্রায় দুই ডজন মাস্তান ও রাজনৈতিক টাউট ওই দখলদারির হোতা। এসব দোকান থেকে মাসে ৩০ লাখ টাকার বেশি ভাড়া ওঠে এমন তথ্যই দেওয়া হয়েছে সহযোগী এক দৈনিকে। এতে বলা হয়, নিমসার উচ্চবিদ্যালয় থেকে চট্টগ্রামের দিকে অন্তত ৩০০ মিটার জায়গাজুড়ে মহাসড়কের চার লেনের মাঝখানের জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে অর্ধশতাধিক আড়ত ও দোকান। খাবারের কয়েকটি হোটেলও আছে। বিভিন্ন ধরনের সবজির পাশাপাশি সেখানকার আড়ত ও দোকানে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ফল ও কাঁচামাল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সবজি ব্যবসায়ীর বরাত দিয়ে সহযোগী দৈনিকের প্রতিবেদনে বলা হয়, আড়াই লাখ টাকা অগ্রিম ও মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ায় দোকানটি ভাড়া নিয়েছেন তিনি। এখানে প্রতিটি দোকানের ভাড়া ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা। প্রতিটি দোকান বাবদ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অগ্রিম নেওয়া হয়েছে ১ থেকে ৩ লাখ টাকা। অবৈধ দোকানগুলোর কারণে যানবাহন চলাচলে তৈরি হচ্ছে বিশৃঙ্খলা। এসব কারণে নিমসার এলাকায় প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকে। দখলদারির সঙ্গে জড়িত এক প্রভাবশালীর দাবি এ সম্পত্তি তাদের বাপ-দাদাদের। ১৯৫৬ সালে তা সওজ রিকুইজিশন করেছিল, অধিগ্রহণ নয়। তার সাফ জবাব, সরকারের কোনো কাজে না লাগা পর্যন্ত সম্পত্তিটি তারা ভোগদখল করবেন। সরকারি সম্পত্তির ওপর নিজের দখলদারির প্রমাণ হিসেবে উপজেলার এক ভাইস চেয়ারম্যানের ভাষ্য, সরকার প্রয়োজনে দোকান ভেঙে দিতে পারবে ওই শর্তে তারা ঘর ভাড়া দিয়েছেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রশাসনের নাকের ডগায় এ ধরনের দখলদারি অকল্পনীয়ই শুধু নয়, যথেচ্ছতার নিকৃষ্ট প্রমাণ। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ সজাগ হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর