শুক্রবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পারমাণবিক বর্জ্যরে ক্ষতিকর প্রভাব

বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বাতাসে যদি ১ শতাংশ ওজোন কমে যায় তাহলে ২০৭৫ সালের আগে জন্মাবে এমন ৩০ লাখ থেকে ১.৫ কোটি মানুষের চামড়ায় ক্যান্সার দেখা দেবে, ৫ থেকে ২৮ লাখ মানুষের চোখে নতুন করে চোখে ছানি পড়বে। এ ওজোন স্তর ঘটিত সমস্যা বর্তমানে বিজ্ঞানীদের ভাবিয়ে তুলেছে। এক সমীক্ষায় দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ক্লোরোফ্লুরোকার্বন উৎপাদন সমগ্র বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৭০ শতাংশ এবং ব্যবহার মোট বিশ্ব ব্যবহারের ৫০ শতাংশ। পরিণামে পৃথিবীর দক্ষিণ মেরু প্রদেশের ওজোন স্তরে ছিদ্রের সৃষ্টি হয়েছে। তবে আশার কথা ক্লোরোফ্লুরোকার্বনের বিকল্প রাসায়নিকের উৎপাদন শুরু হয়েছে। সভ্যতার সবচেয়ে বড় সংকট হিসেবে দেখা দিয়েছে শিল্পে ব্যবহৃত বর্জ্য পদার্থকে নিয়ে। কোথায় ফেলা হবে এ বর্জ্যগুলো? যেখানেই ফেলা হোক না কেন তার থেকে দূষণ ছড়াবেই। বিপজ্জনক রাসায়নিক বর্জ্য সৃষ্ট হয় জৈব রাসায়নিক শিল্পে। এ বর্জ্য পদার্থের মধ্যে অতিমাত্রায় ক্ষতিকারক হলো পারমাণবিক বর্জ্য- এ নিয়ে মানুষ কী করবে জানেন না বিজ্ঞানীরা। পারমাণবিক চুল্লির জ্বালানি হলো ইউরেনিয়াম। এ পদার্থটিকে যখন খনি থেকে তোলা হয় তখন সে রেডন নামে এক তেজস্ক্রিয় গ্যাস বিকিরণ করে যা শ্রমিকদের ফুসফুসে ঢুকে ক্যান্সার সৃষ্টি করে। ইউরেনিয়াম খনি থেকে বিকিরিত গামা রশ্মি মানুষের যৌন ক্রোমোজোমের জিনগত বৈকল্য সৃষ্টি করে। ইউরেনিয়ামকে জ্বালানি দণ্ডের মাধ্যমে আণবিক চুল্লিতে প্রবেশ করানোর পর ভাঙন প্রক্রিয়ায় বিপুল তাপশক্তি ও অসংখ্য বর্জ্য পদার্থের সৃষ্টি করে। বায়ুদূষণের জন্য কার্বন ডাইঅক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড, মিথেন প্রভৃতি দায়ী। বিভিন্ন খনিজ জ্বালানি যেমন কয়লা, পেট্রল ইত্যাদি পোড়ালে বাতাসে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়।

আফতাব চৌধুরী

সর্বশেষ খবর