শনিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

করোনাভাইরাস

নতুন ধরন থেকে সাবধান

একাবিংশ শতাব্দীতে মানবজাতির অস্তিত্বের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করেছিল যে করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ তা আবার নতুন চেহারায় হানা দিতে শুরু করেছে দুনিয়াজুড়ে। ভারত, চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যসহ ৪১টি দেশ ইতোমধ্যে কভিড-১৯ এর অমিক্রন ধরনের জেএন-১ উপ-ধরনের ব্যাপারে সতর্কতা জারি করেছে। বাংলাদেশের জন্যও খবরটি উদ্বেগের। কারণ আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতজুড়ে তা আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। মাত্র ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাসে কেরোলে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। ফলে সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত গোটা ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৩৩ হাজার ৩২৭ জনের। একই সঙ্গে কেরোল, কর্নাটক, গুজরাট, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের খবর মিলছে। বিশ্বে স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে, গত নভেম্বরের শুরুতে করোনাভাইরাসের সাব-ভ্যারিয়েন্ট জেএন-১ আক্রান্ত ছিল প্রায় ৩ শতাংশ। কিন্তু এক মাসে এটির বিশ্বেব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার হার ২৭ দশমিক ১। বিশ্বের ৪১টি দেশে এরই মধ্যে এ ধরন শনাক্ত হয়েছে। প্রথম শনাক্ত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। এতে ১ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। বিশ্বে স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, কানাডা, যুক্তরাজ্য ও সুইডেনে জেএন-১ এ আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে এ উপ-ধরন বেশি ছড়াচ্ছে। মোট করোনা সংক্রমণের ১৫ থেকে ২৯ শতাংশই এ উপ-ধরনের কারণে হচ্ছে। কভিড-১৯ লাখ লাখ মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল। দুনিয়াজুড়ে সৃষ্টি করেছিল অবরুদ্ধ অবস্থা। সিংহভাগ দেশের অর্থনীতিকে নিয়ে গিয়েছিল খাদের কোনায়। তারপর থেকে তিন বছর ধরে একাধারে মন্দার অভিশাপে ভুগছে বিশ্বে অর্থনীতি। করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯ এর নতুন উপ-ধরনটি দ্রুত ছড়ালেও তা ততটা প্রাণঘাতী নয়। তবে এটিকে খাটো করে দেখলে চলবে না। বাংলাদেশে যাতে তা দ্রুত ছড়িয়ে না পড়ে সে ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর