রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভোটে কবি নজরুল-গুণ থেকে ছক্কা ছয়ফুর-হিরো আলম

নঈম নিজাম

ভোটে কবি নজরুল-গুণ থেকে ছক্কা ছয়ফুর-হিরো আলম

১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পতন হয়। তিন জোটের আন্দোলনের মুখে নিজেকে রক্ষা করতে পারলেন না এই সামরিক শাসক। জোটের রূপরেখা অনুযায়ী ক্ষমতা নেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। শুরু হয় নির্বাচনি প্রক্রিয়া। কবি নির্মলেন্দু গুণ তখন কাজ করেন সাপ্তাহিক ঢাকা পত্রিকায়। তিনি ছিলেন নির্বাহী সম্পাদক। আর এ কাগজের মালিক ও সম্পাদক ছিলেন শফিকুল ইসলাম ইউনুস। তিনিও নেত্রকোনার লোক। আমি কাজ করতাম নাঈমুল ইসলাম খানের হাতে যাত্রা হওয়া দৈনিক আজকের কাগজে। বিট ছিল আওয়ামী লীগ। তখন এত পত্রিকা ছিল না। আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা শুরু। আজকের কাগজের পাশাপাশি অনেক দৈনিকে লেখালেখি করতাম। সাপ্তাহিক ঢাকা ছিল অন্যতম। ঢাকা অফিসে গেলেই গুণদা চা-শিঙাড়া খাওয়াতেন। জম্পেশ আড্ডা হতো। একদিন সাপ্তাহিক ঢাকা অফিসে যাওয়ার পর কবি নির্মলেন্দু গুণ বললেন, তোমাকে খুঁজছি। জানতে চাইলাম কেন? বললেন, ভোট করবেন। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন। দল মনোনয়ন দিলে ভালো, না দিলেও সমস্যা নেই। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন।

শেষ পর্যন্ত কবি নির্মলেন্দু গুণ মনোনয়ন পাননি আওয়ামী লীগ থেকে। জেদি কবি সিদ্ধান্ত নিলেন ভোট থেকে সরবেন না। স্বতন্ত্র প্রার্থী হবেন। বিজয় নিয়ে তিনি ভীষণ আশাবাদী। ভক্ত হিসেবে আমিও খুশি। বললেন, চলো একদিন নেত্রকোনায়। আমার নির্বাচনি এলাকা ঘুরে আসবে। হুমায়ূন আহমেদ যাবেন। তুমি একই সময়ে আসো। তিনি জানালেন, লেখক হুমায়ূন আহমেদ তাঁর পক্ষে প্রচারে নামবেন। টানা কয়েকদিন থাকবেন। ব্যস্ততার কারণে নির্মলেন্দু গুণের প্রচারে আমার যাওয়া হয়নি। অফিস থেকে সুযোগ মিললে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে জয়নাল আবেদীন ভূইয়ার পক্ষে কাজ করতে যেতাম। ভোট ঘিরে মিডিয়াকর্মী হিসেবে ব্যস্ততার শেষ ছিল না। এ সময় ডাকসুর আখতার ভাইয়ের পাল্লায় পড়ে রূপগঞ্জে প্রচারে গিয়েছিলাম একদিন। তিনি নৌকার প্রার্থী ছিলেন বিএনপির আবদুল মতিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ভেবেছিলাম আখতার ভাই পাস করবেন। কিন্তু সামান্য ভোটে হেরে যান।

কবি নির্মলেন্দু গুণের ভোটের খবর রাখছিলাম। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে তিনি গেলেন নেত্রকোনায়। এলাকায় টানা অবস্থান করলেন। বাড়ি বাড়ি গেলেন। তাঁর মার্কা ছিল কুমির। কুমির নিয়ে কিছুদিন মাঠে থাকলেন হুমায়ূন আহমেদ। শেষ পর্যন্ত ভোটের নদীতে নৌকার সঙ্গে কুমির পারল না। পরাজিত হলেন আমাদের অন্যতম প্রিয় কবি নির্মলেন্দু গুণ। তিনি পেলেন মাত্র ১ হাজার ২৪৯ ভোট। তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হলো। গুণদা এতে মন খারাপ করলেন না। তিনি ঢাকায় ফিরে নিজের জগতে ব্যস্ত হলেন। লেখালেখি বাড়ালেন। সাংবাদিকতাও চলতে থাকল। গুণদা সব সময় ব্যতিক্রমী মানুষ। তাঁর হাঁটাচলায় একটা স্টাইল ছিল। আপাদমস্তক তিনি একজন কবি। ভীষণ চমৎকার একজন মানুষ। শতভাগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার লড়াকু সৈনিক। কবিতায় তিনি মানুষের কথা বলেন। প্রেমের আঁকাবাঁকা পথে পাঠককে হাঁটান। ভোটের মতো জটিল রাজনীতিতে তিনি কেন গেলেন জানি না। কোনো দিন এ নিয়ে প্রশ্নও করা হয়নি। ভাবছি এ জীবনে আবার দেখা হলে জেনে নেব।

নির্মলেন্দু গুণের ভোটে দাঁড়ানোর ৬৫ বছর আগে এ দেশে আরেকজন কবি ভোট করেছিলেন। দ্রোহ ও প্রেমের সেই কবির নাম কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুলের আসন ছিল ফরিদপুর। তখন ঢাকার সঙ্গেই সম্পৃক্ত ছিল ফরিদপুর। সময়টা ১৯২৬ সাল। কবি ঘুরে বেড়াতেন বাংলার আনাচে-কানাচে। ফরিদপুর ঘুরতে যাওয়ার পর স্থানীয়রা ভোটে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান। সে অনুরোধ তিনি প্রত্যাখ্যান করলেন না। মানুষের ডাকে সাড়া দিলেন। ঢাকা বিভাগের মুসলমানদের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য পদে তিনি ভোটে নামলেন। মনোনয়ন নিলেন স্বরাজ পার্টি থেকে। প্রতীক নেওয়ার পর দল থেকে তাঁকে খরচের ৩০০ টাকা দেওয়া হয়। কবির ধারণা ছিল ভোটে টাকা লাগে না। বিস্মিত হাতে তিনি টাকা নিলেন। মাঠে নেমে বুঝলেন এ টাকা কিছুই না। পোস্টার করলে কর্মী খরচ আসে না। কর্মীদের দিলে সমর্থকরা পান-তামাকের টাকা চান। বিপদে পড়লেন বিদ্রোহী কবি। বুঝলেন প্রচার হয় না টাকা ছাড়া। কবি কিছু প্রভাবশালী মানুষের কাছে গেলেন। কাজ হলো না। কবির পাশে দাঁড়ালেন না কেউ। পেলেন না কোনো ধরনের সহায়তা। বিপদ থেকে উদ্ধার করতে নজরুলের পাশে দাঁড়ালেন ফরিদপুরের আরেকজন কবি জসীমউদ্দীন। এতে সমর্থন বাড়লেও আর্থিক সংকটের সমাধান হলো না। কবি নজরুল হারলেন। জামানত বাজেয়াপ্ত হলো। পাঁচজন প্রার্থীর মধ্যে তিনি হলেন চতুর্থ। সব মিলিয়ে পেলেন ১ হাজার ৬২ ভোট।

ভোটে কবি নজরুলের অনেক অভিজ্ঞতা হলো। বদলে যেতে দেখলেন দুই দিন আগের শুভানুধ্যায়ীদের। মানুষের মুহূর্তে চেহারা বদল তাঁকে অবাক করল। হতাশ করল ভোটের রাজনীতিতে পদে পদে বিশ্বাসঘাতকতা দেখে। একদা যারা কবির গান-কবিতা শুনে মুগ্ধ হতেন তারা মুখ ফিরিয়ে নিলেন ভোটের মুহূর্তে। কবির ধারণা ছিল ফরিদপুরের মাঠ মোটামুটি ধরে রাখতে পারলে ঢাকার ভোটে পার হয়ে যাবেন। ঢাকার মানুষ কথা রাখেনি। তবে ফরিদপুরের পীর বাদশা মিয়া কবি নজরুলের পক্ষে অবস্থান নেন। তিনি মুসলমানদের আহ্বান জানালেন, অধিকার আদায়ে কবি নজরুলকে ভোট দিতে হবে। ফতোয়া দিলেন পাগলা কবিকে ভোট দিলে মানুষের কল্যাণ হবে। পীরের ফতোয়ায়ও খুব বেশি কাজ হলো না। কবি কষ্ট পেলেন। ভারাক্রান্ত হৃদয়ে বুঝলেন, ভোটের মাঠে চারপাশটাকে চেনা বড় কঠিন। এমন জটিল অবস্থানে কবি জসীমউদ্দীনের উৎসাহে ভাটা ছিল না। তিনি ভোটের দিন একটি কেন্দ্রে নজরুলকে নিয়ে যান। তাঁর মনে আশা ছিল নজরুলকে দেখে ভোটারদের মন গলবে। প্রভাব পড়বে ভোটের বাক্সে। কবি জসীমউদ্দীনের সেই ধারণা ভুল প্রমাণ হলো। মানুষ কবি নজরুলের সঙ্গে হাত মেলাল। হাসিমুখে কথা বলল। ভোট দিল না।

ভোটে দাঁড়ানো এক জটিল সমস্যা। মওলানা ভাসানীর মতো সংগ্রামী নেতা ১৯৭০ সালের ভোট বর্জন করলেন। তিনি স্বাধীনতার পরও ভোটে যাননি। এ খেসারতে তাঁর দল ছিটকে পড়ল ভোটের রাজনীতি থেকে। জনবিচ্ছিন্ন হলো। জিয়াউর রহমানের শাসনকালে ভাসানী সমর্থকরা দলে দলে যোগ দিলেন সামরিক ছাউনিতে তৈরি বিএনপিতে। মশিউর রহমান যাদু মিয়া থেকে ক্যাপ্টেন আবদুল হালিম, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া, আবদুল্লাহ আল নোমান, তরিকুল ইসলাম, কবীর হোসেন কেউ বাদ গেলেন না। সারা জীবনের অর্জিত রাজনীতি মিশে গেল জিয়ার খাল কাটায়। ভাসানী সমর্থকদের মধ্যে যারা জিয়ার সঙ্গে সুযোগ পাননি তারা অপেক্ষা করলেন। এরশাদ আসতেই তারা আর বিলম্ব করলেন না। সামরিক শাসন জারির পর সুযোগ হাতছাড়া করলেন না। দলে দলে সবাই ভাসানীর আদর্শ খুঁজলেন এরশাদের মাঝে। জিয়া-এরশাদ গণতন্ত্র খুঁজলেন সেনা ছাউনিতে বসে। গেলেন হ্যাঁ-না ভোটে। সাবেক জার্মান চ্যান্সেলর অটো ফন বিসমার্ক একটা কথা বলেছেন, মানুষ আর কখনোই এত মিথ্যা কথা বলে না যতটা তারা বলে থাকে কোনো শিকার করার পর বা যুদ্ধের সময় অথবা নির্বাচন চলাকালে। আর মার্কিন বেতার উপস্থাপক রুশ লিমবার্গ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনো নির্বাচনে যে পরিমাণ ভোট পড়ে, তার চেয়ে বেশি ভোট পড়ে ‘আমেরিকান আইডল’ অনুষ্ঠানে। হ্যাঁ-না ভোটে অনেক কেন্দ্রে শতভাগের বেশি ভোট পড়েছিল। মূলত ভোটের রাজনীতির বারোটা তখনই বেজেছিল।

জিয়াউর রহমানের দল বিএনপি এবারও ভোটে যায়নি। তারা অসহযোগের ডাক দিয়েছে। রাজনীতি এক বহতা নদী। এখানে জোয়ার আছে। ভাটা আছে। একবার ভাটার টানে পড়লে উঠে দাঁড়াতে কষ্ট হয়। আর হিসাবে ভুল করলে অপেক্ষা করতে হয়। ভোটের রাজনীতিতে বিএনপির ভুল ২০১৪ সালে শুরু। তারা সেই ভুল থেকে এখনো বের হতে পারেনি। বিএনপি বুঝতে পারছে না বিশ্ববাস্তবতা বদলে গেছে। আশি-নব্বই দশকের হিসাবনিকাশ ২০২৪ সালে করলে হবে না। এ যুগে এ সময়ে গণতান্ত্রিক কাঠামোয় ভোটের কোনো বিকল্প নেই। ওয়ান-ইলেভেন মার্কা সরকারের আগমনের সব পথ রুদ্ধ। মানুষ ভোটকে এক ধরনের উৎসব হিসেবে নেয়। সে উৎসব থেকে হারিয়ে গেলে ফিরে আসা কঠিন। একমত না হতে পারেন, মানুষকে তাদের ভোটাধিকার থেকে ফেরাতে পারবেন না। মানুষ ভোটের সুযোগ পেলে ছক্কা ছয়ফুর, হিরো আলমকে ভোট দিয়ে দেয়। বর্জনকে ভালো চোখে দেখে না। ছক্কা ছয়ফুরের কথা কারও মনে আছে কি? এরশাদ জমানার শেষ দিকে সিলেট শহরে তাঁকে নিয়ে ব্যাপক হইচই হয়েছিল। ১৯৯০ সালে সিলেট সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ছক্কা ছয়ফুর রহমান নামে একজন বাবুর্চি নির্বাচিত হন। রান্নার কারণে তিনি বিখ্যাত ছিলেন না। এতে তার সংসারও চলত না। অর্থের অভাবে মাঝেমধ্যে তিনি ঠেলাগাড়ি চালাতেন। আর ভোট এলে দাঁড়িয়ে যেতেন। রাষ্ট্রপতি, এমপি, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সব ভোটে তাঁকে দেখা যেত।

১৯৯০ সালের উপজেলা নির্বাচনেও ছয়ফুর রহমান দাঁড়ালেন। ভোটার, প্রার্থী কেউ তাকে হিসাবে আনল না। তিনি সিলেট শহরের মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করতেন। পথচলা কৌতূহলী মানুষের কেউ কেউ থমকে দাঁড়িয়ে সেই বক্তৃতা শুনত। অনুষ্ঠান শেষ হলে ছয়ফুর গামছা নিয়ে সবার সামনে দাঁড়াতেন। বলতেন এতক্ষণ বক্তৃতা শুনেছেন এবার মাইকের খরচ দেন। মানুষ মজা পেত। মাইকের খরচ দিত। সেই মানুষটি হঠাৎ আলোচনায় এলেন। এক সন্ধ্যায় হঠাৎ শহরে খবর রটল ছয়ফুরের ওপর হামলা হয়েছে। কোনো একজন প্রার্থী এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। সিলেট সদর উপজেলার ভোটাররা এ ঘটনা ভালোভাবে নেয়নি। তারা বলল, একজন নিরীহ মানুষের ওপর এভাবে হামলা মেনে নেওয়া যায় না। ছাত্ররা ক্ষুব্ধ-ব্যথিত হলো। সবাই সিদ্ধান্ত নিল হয়ে যাক একটা প্রতিবাদ। শুরুতে প্রতিবাদ মিছিল বের করল সিলেট পাইলট স্কুলের ছাত্ররা। তাদের মিছিলে যোগ দিল সাধারণ মানুষও। ছয়ফুরের মার্কা ছিল ডাব। প্রতিবাদী ভোট গিয়ে পড়ল ডাব প্রতীকে। ছয়ফুর জিতে গেলেন। পরাজিত হলেন সিলেট আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা ইফতেখার উদ্দিন শামীমসহ সবাই। সারা বাংলাদেশে আলোচনায় এলেন ছয়ফুর। সবাই বললেন, তিনি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। তার পর থেকে তাঁর নামের আগে ছক্কা যোগ হলো। নতুন নাম হলো ছক্কা ছয়ফুর।

ভোটের মাঠে কে কখন ছক্কা হাঁকাবেন কেউ জানে না। ভোটের একটি দিন মানুষের। বাকি পাঁচ বছর নির্বাচিত ব্যক্তির। বছরখানেক আগে বগুড়ার একটি উপনির্বাচনে অল্পের জন্য হারলেন আলোচিত হিরো আলম। পরাজয়ের পর তিনি ডিসি, এসপির দিকে ইঙ্গিত করলেন। বললেন, শিক্ষিত মানুষরা তাঁকে স্যার ডাকার ভয়ে পরাজিত করেছেন। সত্য-মিথ্যা জানি না। তবে সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জোটের সমর্থন পাওয়া জাসদের একজন প্রার্থীর বুক মাটিতে লেগে গিয়েছিল। বগুড়া-৪ আসনের সেই উপনির্বাচনে হিরো আলমের প্রতিপক্ষ ছিলেন জাসদের (ইনু) প্রার্থী অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম তানসেন। ভোটে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। মাত্র ৮৩৪ ভোটে পরাজিত হন হিরো আলম।

হিরো পান ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। জাসদের তানসেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। সেই ভোট সারা দেশকে চমকে দিয়েছিল। ভোটের হিসাব আসলে জটিল। এ জটিল হিসাবে আবেগের ফাঁদে পড়ে কবি নজরুল, নির্মলেন্দু গুণদের সর্বনাশ হয়। ভোটাররা যোগ্যদের পাশে থাকে না। আবার জিদে পড়ে ভোটাররা হিরো আলম, ছক্কা ছয়ফুরদেরও বেছে নেয়। আসছে নির্বাচনে অনেক রাঘববোয়ালের দফারফা হবে ঈগলের থাবায়। ফুলকপি, কেটলি, কাঁচি, ট্রাকের চাপায় পড়তে পারেন অনেক হেভিওয়েট। এটাই ভোটের সৌন্দর্য। যারা অজুহাত তুলে এ সুন্দরের সঙ্গে তাল মেলাতে পারেন না তারা ছিটকে পড়েন রাজনীতি থেকে। তাদের কর্মীরা দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকে ক্ষমতার বাইরে। রাজনীতির হিসাবটাই কঠিন।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ খবর