রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে

কারচুপির হোতাদের রুখতে হবে

৭ জানুয়ারি হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করা নির্বাচন কমিশনের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এর মধ্যে কয়েকটি এলাকায় অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি, প্রার্থীদের নিরপেক্ষ ভোটবিরোধী তৎপরতা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকার পাশের রূপগঞ্জের একজন প্রার্থীর সমর্থকদের অবৈধ অস্ত্রের প্রদর্শনীর খবর ও ছবি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করা প্রার্থী গাজী গোলাম দস্তগীর ভোটে কারচুপির জন্য গভীর ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছেন, এমন অভিযোগ করেছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা। ওই প্রার্থীর মালিকানাধীন যমুনা ব্যাংকের ২২ জন কর্মকর্তাকে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে রয়েছেন গাজী গোলাম দস্তগীরের ছেলেসহ পরিবারের সদস্যরা। এ ছাড়া ওই প্রার্থীর কাছের আরও কিছু শিক্ষককে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার চেষ্টা চলছে। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীরা এ নিয়ে অভিযোগ করেছেন নির্বাচন কমিশনে। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে এ অভিযোগ আমলে নিতে হবে। তদন্ত করে ব্যবস্থা না নিলে কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। ব্যাহত হবে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ। পাশাপাশি যারা অবৈধ অস্ত্র প্রদর্শন করেছে, তাদের অবিলম্বে আটক করতে হবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে। কোনোভাবেই নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন নিরপেক্ষ নির্বাচনে তাঁর সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করছে। বলেছেন, দলের কেউ সংঘাতে জড়ালে ক্ষমা করা হবে না। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংকল্পবদ্ধ মনোভাবের কথা বলেছেন। দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে দেওয়া এসব অঙ্গীকার যেন কোনো মহল চক্রান্ত করে নষ্ট করতে না পারে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন হলো জনগণের উৎসব। এ উৎসবের মাধ্যমে তারা তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করে। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ব্যক্তি ও দলের ঊর্ধ্বে দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের জয় হোক- এমনটিই দেখতে চায় দেশবাসী।

সর্বশেষ খবর