রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

পুরান ঢাকার পুনরুন্নয়ন

ঐতিহ্য সংরক্ষণে রাখতে হবে নজর

রাজধানীর পুরান ঢাকার সিংহভাগ এলাকা ইতোমধ্যে বসবাসের যোগ্যতা হারিয়েছে। মধ্যযুগের সংকীর্ণ রাস্তাঘাটসংবলিত পুরান ঢাকার জনসংখ্যা বেড়েছে গত ৪১৩ বছরে কয়েক শ গুণ। এ সময়ে ঘিঞ্জিবসতি এলাকায় পরিণত হয়েছে একসময়ের মূল ঢাকা নগরী। সরু রাস্তার জন্য যানজট সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুরান ঢাকার অনুষঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘনবসতির ওই এলাকায় শ্বাস ফেলার জায়গার অভাবও প্রকট। জলাবদ্ধতা ও পানি নিষ্কাশন সমস্যা; খেলার মাঠ, পার্ক ও কমিউনিটি সুবিধা না থাকা; ঝুঁকিপূর্ণ ভবন, অপরিকল্পিত অবকাঠামোসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত পুরান ঢাকা। নগর পুনরুন্নয়নের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধান করে বাসযোগ্য শহরে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছে রাজউক। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় পুরান ঢাকাকে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুরান ঢাকার সাতটি জায়গা চিহ্নিত করে শুরু হয়েছে সমীক্ষা। এলাকাগুলো হলো মৌলভীবাজার, সোয়ারীঘাট, লালবাগ, ইসলামবাগ, কামরাঙ্গীর চর, বংশাল ও হাজারীবাগ। পাইলট প্রকল্পের স্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে হাজারীবাগ ও লালবাগ। ছয় মাসের মধ্যে এ দুই এলাকায় নগর পুনরুন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হবে। ‘আদি ঢাকা’র পুরো অংশই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত। রাজউকের তথ্যমতে, ডিএসসিসির ২১ ওয়ার্ড পুরান ঢাকার অংশ। এসব এলাকার আয়তন প্রায় ৮ বর্গকিলোমিটার। পরবর্তী সময়ের নগরায়ণে পুরান ঢাকাসংলগ্ন ডিএসসিসির কিছু এলাকাও ঘিঞ্জি জনপদে পরিণত হয়েছে। এসব এলাকা নতুন করে গড়ে তুলবে রাজউক। পুরান ঢাকা নতুনভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ এলাকার চার শতাব্দীর ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি মাথায় রাখা হবে। এশিয়ার বিভিন্ন অগ্রসর দেশের নগর পুনরুন্নয়নের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো হবে। পুরান ঢাকায় রয়েছে অসংখ্য কেমিক্যাল গোডাউন। পলিথিন-প্লাস্টিক কারখানার সংখ্যাও বিপুল। পুনরুন্নয়নের ক্ষেত্রে পুরান ঢাকাবাসী এসব ‘বিস্ফোরকের স্তূপ’ থেকে রক্ষা পাবে, আমাদের প্রত্যাশা তা-াই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর