সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শুভ বড়দিন

অমরতার অনুষঙ্গ যিশুখ্রিস্টের শিক্ষা

পুণ্যবান মহাপুরুষ যিশুখ্রিস্টকে স্মরণ করার শুভ বড়দিন আজ। খ্রিস্টধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিস্ট মানব জাতিকে অহিংসা ও ভালোবাসার শিক্ষা দিয়েছেন। শান্তি ও মানব কল্যাণের যে বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন এই মহামানব তার অমরতা অনুভূত হয় বড়দিনের উৎসবে। ২ হাজার বছর আগে হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানিতে মত্ত পৃথিবীতে যিশুখ্রিস্ট আবির্ভূত হয়েছিলেন। ফিলিস্তিনের বেথলেহেমের আস্তাবলে জন্ম নেন মানব জাতির ইতিহাসের অন্যতম প্রভাব বিস্তারকারী এই পবিত্র পুরুষ। ২৫ ডিসেম্বর দিনটিকে জন্মদিন হিসেবে পালন করা হলেও যিশু ঠিক কোন দিন জন্মগ্রহণ করেছেন সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য অনুসারীদের কাছেও নেই। এটি মহাপুরুষের জীবনের কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও নয়। যিশুখ্রিস্ট সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের যে শিক্ষা মানব জাতিকে দিয়েছেন তাতেই তাঁর মহিমা যথাযথভাবে প্রকাশ পায়। বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর এক বড় অংশ এই মহাপুরুষের প্রতি ধর্মীয় কারণেই শ্রদ্ধাশীল। খ্রিস্টধর্মের অনুসারীদের কাছে তিনি ত্রাতা তথা মানব জাতির উদ্ধারকর্তা। মুসলমানদের কাছে তিনি আল্লাহর প্রেরিত রসুল হজরত ঈসা (আ.)। যিশুখ্রিস্ট ছিলেন সত্য, সুন্দর ও কল্যাণের অমিয় বাণীর প্রচারক। অসত্য-অসুন্দর ও অকল্যাণের প্রতিভূদের হাতে তাঁকে এ জন্য নির্যাতিত হতে হয়েছে। জীবন বিপন্ন হওয়ার হুমকি তুচ্ছজ্ঞান করে তিনি মানবতার জয়ধ্বনি জাগিয়ে তুলতে চেয়েছেন। মানুষে মানুষে ভালোবাসা ও সহমর্মিতার যে পথ তিনি দেখিয়েছেন তা আজকের এই যুগে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় পাথেয় হতে পারে। যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান ফিলিস্তিনে পৌনে এক শতাব্দী ধরে চলছে ইহুদি দখলদারিত্ব। তার অনুসারী বলে দাবিদার কিছু মতলববাজ দেশ এতে মদদ জোগাচ্ছে। সভ্যতার সংঘাতে বিপদাপন্ন পৃথিবীতে যিশুখ্রিস্টের শিক্ষা গড়ে তুলতে পারে শান্তির পরিবেশ।  সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির লীলাভূমি বাংলাদেশে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের যেসব সদস্য বাস করেন বড়দিন তাদের মধ্যেও উৎসবী পরিবেশের সৃষ্টি করেছে। বড়দিনে দেশ এবং বিশ্বের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আমাদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। অমরতার অনুষঙ্গ হয়ে উঠুক মহাপুরুষ যিশুখ্রিস্টের অহিংসা ও ভালোবাসার শিক্ষা।

সর্বশেষ খবর