শিরোনাম
মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

গাজায় নৃশংসতা

জায়নবাদীদের নিরস্ত করার কেউ নেই

গাজায় ইসরায়েলি নৃশংসতা সমানেই চলছে। প্রতিদিনই মরছে বিপুলসংখ্যক ফিলিস্তিনি। হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা কোনো কিছুই রক্ষা পাচ্ছে না। গাজা উপত্যকায় বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে বহু আগে। প্রতি ১০০ জনের মধ্যে অন্তত একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন নির্বিচার বোমা হামলায়। তারপরও মেটেনি জায়নবাদীদের জিঘাংসা। ফিলিস্তিনি নিধনযজ্ঞে মদদ জোগাচ্ছে ইহুদিদের চেয়েও বেশি ইহুদিবাদী যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের অনুগত রাষ্ট্রগুলো। গাজাবাসীকে নির্বিচার হত্যাকান্ড থেকে বাঁচাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আনা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে আবারও ভেটো দেওয়া আটকাতে সংশোধিত মানবিক সাহায্যের প্রস্তাব পাস হয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে। যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব ভেস্তে যাওয়ার পর ফিলিস্তিন এটিকে ‘অর্থহীন’ তকমা দিয়েছে। এর মাধ্যমে ইসরায়েলকে আরও ভয়াবহ হামলার ছাড়পত্র দেওয়া হলো বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়াও। গাজায় যে পরিস্থিতি তাতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা ছাড়া উপায় নেই- এই মর্মে গত ১৫ ডিসেম্বর জাতিসংঘে প্রস্তাব পেশ করে আমিরাত। প্রস্তাবের খসড়ায় যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি আরও বেশি মানবিক সহায়তা পাঠানোর কথাও বলা হয়। যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হলে হামাস বাড়তি সুবিধা পাবে, এ যুক্তিতেই বিরোধিতা করতে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তাই আমেরিকার ভেটো দেওয়া আটকাতে খসড়া প্রস্তাব নিয়ে দফায় দফায় কূটনৈতিক আলোচনা চলতে থাকে। যার জেরে ভোটাভুটি পিছিয়েও যায় কয়েকবার। শেষ পর্যন্ত আমেরিকাকে রাজি করাতে প্রস্তাবটি থেকে ‘যুদ্ধবিরতি’র বিষয়টি পুরোপুরি বাদ দিয়ে শুধুই মানবিক সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়। শুক্রবার প্রস্তাবটি ১৩-০ ভোটে পাস হয়। নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫টি দেশের মধ্যে ১৩টি দেশ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। রাশিয়া ভোটদানে বিরত থাকে যুদ্ধবিরতির বিষয়টি না থাকায়। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বিরত থাকে জায়নবাদীদের খুশি রাখতে। এর মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিষদের মর্যাদা আবারও ভূলুণ্ঠিত হলো। বিশ্ব শান্তি নয়, দেশ বিশেষের স্বার্থের কাছে জিম্মি করা হচ্ছে বিশ্ববাসীকে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর