মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

খুঁড়িয়ে চলা হাসপাতাল

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘুম ভাঙুক

লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। রোগীদের চিকিৎসা দেবে যে হাসপাতাল তার সুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। জেলা পর্যায়ের এই শীর্ষ সরকারি হাসপাতালের চারদিকে শুধু নেই আর নেই। জনবল সংকট, রোগ নির্ণয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাব ও অ্যাম্বুলেন্স স্বল্পতাসহ নানা সমস্যায় খুঁড়িয়ে চলছে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল। রয়েছে চিকিৎসক সংকটও। আবাসিক মেডিকেল অফিসার কার্ডিওলজি, নাক-কান-গলা, সিনিয়র গাইনি কনসালট্যান্টসহ চিকিৎসক-কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে ১৯২ জনবলের স্থলে রয়েছে মাত্র ১২২ জন। এ ছাড়া ১০০ শয্যার জন্য নির্ধারিত সরঞ্জাম, জনবল ও ভবনেই চলছে ২৫০ শয্যা হাসপাতালের কার্যক্রম। নতুন ভবন নির্মাণ শেষ হলেও হস্তান্তর না হওয়ায় স্থান সংকট স্থায়ী হয়ে গেছে। চিকিৎসকদের অনুপস্থিতি সংকটকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে। লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলা ও পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ীর প্রায় ২৪ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার একমাত্র ভরসা ২৫০ শয্যার এ হাসপাতালে শয্যা স্বল্পতায় মেঝেতে মাদুর বিছিয়ে শুয়ে থাকতে বাধ্য হন অনেক মুমূর্ষু রোগী। রোগীদের অভিযোগ, রোগ নির্ণয়ে আধুনিক যন্ত্রপাতি না থাকায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বাইরে যেতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা হাসপাতালে উপস্থিত থাকার বদলে তাদের বেসরকারি চেম্বারে থাকতেই বেশি উৎসাহী। কারণ তাতে দুই হাতে টাকা কামাই করা যায়। হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একাংশ রংপুরে অবস্থান করে বিভিন্ন ক্লিনিক, হাসপাতাল ও বেসরকারি মেডিকেলে সেবা দেন। যারা লালমনিরহাটে থাকেন তারাও সিংহভাগ সময় কাটান নিজস্ব চেম্বারে। ফলে চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে উপেক্ষিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ১০০ শয্যা হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় রূপান্তর হলেও আগের লোকবল দিয়ে হাসপাতাল পরিচালনায় চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঘুম ভাঙবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর