বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সাংবাদিক নির্যাতন

ইসি ও প্রশাসনকে কঠোর হতে হবে

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনি প্রচারণার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনা ঘটেছে। কুমিল্লায় এক মন্ত্রীর নির্বাচনি প্রচারণার খবর কভারেজ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রীর ভাইয়ের তোপের মুখে পড়েন স্থানীয় পত্রিকার এক সাংবাদিক। মন্ত্রীর ভাই ও সদর দক্ষিণ উপজেলার চেয়ারম্যান হুমকির সুরে বলেন, সাংবাদিকের এত ভিডিও করার দরকার নেই। সারাক্ষণ খালি ছবি তোলা আর ভিডিও করা ছাড়া আর যেন কোনো কাজ নেই। আমরা ছবি তুলতে ঢাকা থেকে লোক এনেছি, এ কথা বলেই তিনি এক সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন। এরপর আরেক সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী অর্থমন্ত্রীর মেয়ে নৌকার প্রচারণায় এসেছেন খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য হাজতখোলা বাজারে আসেন। এমন সময় অর্থমন্ত্রীর ছোট ভাই ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হন। পরে অবশ্য তিনি ক্যামেরা ফেরত দেন। এর আগে কুমিল্লার এক শক্তিমান সংসদ সদস্যের নির্দেশে দুই সাংবাদিককে পেটানো হয়। গত বুধবার শক্তিমান ওই এমপির নির্বাচনি সভা কভারেজ করতে যান সাংবাদিকরা। সভা শেষে সাংবাদিকদের দেখে তিনি বলেন, কোনো টিভি সাংবাদিক আমার কভারেজে আসবে না। ওই সময় একাত্তর টিভির সাংবাদিকদের দেখে তিনি তেড়ে আসেন এবং অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। তার নেতা-কর্মীরা একাত্তর টিভির প্রতিনিধি ও ক্যামেরাপারসনের গায়ে হাত তোলেন। তাদের ডিভাইস ছিনিয়ে নেন। নির্বাচন হলো জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচনের উৎসব। এতে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাদের প্রতি সাধারণ মানুষের আগ্রহ থাকে। স্বভাবতই মানুষের সে আগ্রহের প্রতি লক্ষ্য রেখে সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা খবর সংগ্রহে যান। কিন্তু কোনো কোনো প্রার্থী তাদের অসংগত কর্মকাণ্ড  গোপন রাখতে সাংবাদিকদের প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখছেন। ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া, মারধর করা এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়ছেন। যা নিঃসন্দেহে নির্বাচন বিধির লঙ্ঘন। দুর্বৃত্তায়নের সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন কঠোর হবেন আমরা এমনটি দেখতে চাই। বহির্বিশ্বে দেশ ও জাতির ভাবমূর্তি রক্ষায় এ বিষয়ে কঠোর হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর