শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচনি সহিংসতা

দুর্বিনীতদের বিরুদ্ধে কঠোর হোন

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দানা বেঁধে উঠেছে নির্বাচনি সহিংসতা। বেশির ভাগ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি লড়াইয়ের আভাস মিললেও যেভাবে তারা একে অপরের নির্বাচনি ক্যাম্পে হামলা চালানোসহ সহিংসতায় লিপ্ত হচ্ছেন, তাতে উদ্বিগ্ন না হয়ে পারা যায় না। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো অংশ না নেওয়ায় আওয়ামী লীগ বিপুলভাবে জয়ী হবে এতে কারও কোনো সন্দেহ নেই। যে কারণে সরকারের লক্ষ্য একটাই- শতভাগ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করা। কিন্তু যেভাবে নির্বাচনি সহিংসতা দানা বেঁধে উঠছে তা সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার আশঙ্কা সৃষ্টি করছে। নির্বাচন বিধি ভঙ্গ করে কোনো কোনো প্রার্থী নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে গোপন বৈঠকও করছেন। এসব বৈঠকের ছবি সামাজিক প্রচার মাধ্যমের কল্যাণে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। আর তাতে জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ। নির্বাচন কমিশনের উচিত, প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনি দায়িত্ব পাওয়া কর্মকর্তাদের কোনো বৈঠক হলে তাদের শুধু নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া নয়, তারা যে চাকরিতে নিয়োজিত সেখান থেকেও অব্যাহতি দেওয়া। নির্বাচনে কারচুপির পরিকল্পনা আঁটা প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিলের কথাও ভাবতে হবে। স্বীকার করতেই হবে, দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে অনভিপ্রেত অনেক ঘটনাই ঘটেছে। যা শুধু সরকার নয়, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। যে কারণে সরকার চায়, যে কোনো মূল্যে সুষ্ঠু নির্বাচন। নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর দেশবাসী ও বিশ্ব সমাজের আস্থা ফিরিয়ে আনা নির্বাচন কমিশনের জন্যও চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন সঠিক পথে চলেছে বলেই আমাদের ধারণা। এ সাহস এবং দৃঢ়তা তাদের বজায় রাখতে হবে। সব ধরনের বিচ্যুতির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে প্রমাণ করতে হবে বাংলাদেশেও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। দেশের মর্যাদার স্বার্থে সুষ্ঠু নির্বাচনে অন্তরায় সৃষ্টিকারী দুর্বিনীতদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের কোনো বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর