শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আলী ইমাম ছিলেন সবার প্রিয়

ইমদাদুল হক মিলন

আলী ইমাম ছিলেন সবার প্রিয়

আমার বন্ধু সিরাজুল ইসলাম এক বিকালে বলল, ‘চল তোকে এক জায়গায় নিয়ে যাই।’ তিয়াত্তর সালের শেষ দিককার কথা। সিরাজদের বাড়ি বেগমগঞ্জের গলিতে। জায়গাটা নারিন্দা আর স্বামীবাগের মাঝখানে। সে বুয়েটে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে। বোধহয় শেষবর্ষের ছাত্র। তখনই সে বিখ্যাত তরুণ গল্পকার। ছোটখাটো সিরাজ অত্যন্ত মেধাবী। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পাশাপাশি তাঁর সাহিত্যের পাঠও ব্যাপক। তখনো আমার লেখালেখি শুরু হয়নি। বিখ্যাত তরুণ লেখকদের পিছন পিছন ঘুরি। যেমন বুলবুল চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম। দুজনেই আমার সিনিয়র। কিন্তু ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে। বুলবুলকে আপনি আপনি করি আর সিরাজকে তুই তোকারি। থাকি গেন্ডারিয়াতে। জগন্নাথ কলেজে ইন্টারমিডিয়েট পড়ি।

সেই বিকালে সিরাজ আমাকে ঠাঁটারি বাজারের একটি বাড়িতে নিয়ে গেল। দেড়তলা পুরনো বাড়ি। দেড়তলার ওপর একটুখানি ছাদ আর একটা লম্বা মতন রুম। সেই রুমে বিশাল এক বিস্ময় অপেক্ষা করছিল আমার জন্য। রুমটির চারদিককার দেয়ালজুড়ে মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত শুধুই বুক সেলফ। বুক সেলফগুলো ঠাসাঠাসি ভরা বইতে। রুমের পিছন দিকটায় পুরনো একটা সিঙ্গেল খাট, মাথার কাছে টেবিল-চেয়ার। চেয়ারে বসে মাথাগুঁজে লিখছেন এক যুবক। আমরা ঢুকতেই মুখ ফিরিয়ে তাকালেন। এই যুবকের নাম আলী ইমাম। সেদিনকার আগে কারও ব্যক্তিগত সংগ্রহে এত বই দেখা তো দূরের কথা, আমি কল্পনাও করিনি। ৫০ বছর আগের সেই বিকালটি এখনো আমার চোখজুড়ে, আলী ইমামের রুমটি চোখ বুজলেই দেখতে পাই।

তখন ধীরে ধীরে আলী ইমাম সম্পর্কে জানছি। আমার চেয়ে বছর পাঁচেকের বড় হবেন। শিশু-কিশোরদের জন্য লিখে সেই বয়সেই বিখ্যাত। শিশু-সাহিত্যের অগ্রজ প্রত্যেক বিখ্যাত লেখক তাঁকে খুবই স্নেহ করেন, ভালোবাসেন। কবি জসীমউদ্দীনের তিনি খুবই স্নেহধন্য। জানলাম আলী ইমামের ডাকনাম ‘হেলাল’।

সেই বিকালে দেখেছিলাম আলী ইমাম খুবই আড্ডাপ্রিয় মানুষ। বাংলা শিশু-সাহিত্য ভেজে খেয়েছেন। বিশ্বসাহিত্যে শিশু-কিশোরদের জন্য লেখা প্রায়ই সব বিখ্যাত লেখায়ই তাঁর নখদর্পণে। সিরাজ আর আলী ইমাম কথাবার্তা বলতে লাগল সাহিত্য নিয়ে। বক্তা প্রধানতই আলী ইমাম। আমি তখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি আলী ইমাম ব্যাপারটি আসলে কী? বুঝলাম কয়েক মাস পরের পহেলা বৈশাখে।

চাঁদের হাটের পাতায় যাঁরা লেখেন তাঁদের নিয়ে সেদিন একটি সাহিত্যের অনুষ্ঠান হচ্ছিল পূর্বদেশ অফিসে। আমিও গিয়েছি। চাঁদের হাটের প্রধান রফিকুল হক দাদুভাই। তখনো ‘চাঁদের হাট’ সাংগঠনিক রূপ পায়নি। পাতাটিকে ঘিরেই আমরা একত্রিত হচ্ছিলাম। সেই অনুষ্ঠানে গল্প কবিতা ছড়া পাঠ করল অনেকেই। মেঝেতে দর্শক হয়ে বসে আছি আমি। সেদিনকার আগে এত লেখক একসঙ্গে কখনো দেখিনি। মুগ্ধ হয়ে তাঁদের দেখছি। তাঁদের গল্প কবিতা ছড়া শুনছি। একের পর এক লেখা পাঠ করা হচ্ছে। সবাই হাততালি দিচ্ছে, প্রশংসা করছে আর আমার শুধু মনে হচ্ছে আহা, আমি যদি কোনো দিন ওদের মতো লেখক হতে পারতাম!

সেই অনুষ্ঠানে আলী ইমামের আরেক পরিচয় পেলাম। এক পর্যায়ে দাদুভাই তাঁকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য ডাকলেন। আলী ইমাম কথা শুরু করলেন। এত চমৎকার বলার ভঙ্গি, শিশু-সাহিত্য নিয়ে এত জানাশোনা আর এত ঝরঝরে ও প্রাঞ্জল ভাষায় কথা বলতে পারেন তিনি, ভাবাই যায় না! বক্তৃতা শেষে তাঁকে ঘিরে ধরল সবাই। খাতা-কলম এগিয়ে দিল একের পর এক। সেই প্রথম একজন লেখককে অটোগ্রাফ দিতে দেখলাম। তার পর আলী ইমাম হয়ে উঠছিলেন আমাদের কয়েক বন্ধুর ‘হেলাল ভাই’।

‘চাঁদের হাট’ তার পর সাংগঠনিক রূপ নিল। জীবনে প্রথম আমি কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হলাম। আলী ইমাম সংগঠনের একজন উপদেষ্টা। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কোনো না কোনো কাগজের ছোটদের পাতায় তাঁর লেখা ছাপা হচ্ছে। আমি মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে থাকি তাঁর সেসব লেখা পড়ে। তত দিনে তিনি আমাকে চেনেন। দেখা হলেই মিষ্টি হেসে সুন্দর করে কথা বলেন।

চাঁদের হাটের সঙ্গে যুক্ত না হলে এ জীবন অসম্পূর্ণ থাকত। জীবনের শ্রেষ্ঠ বন্ধুদের পেয়েছি এ সংগঠনের মাধ্যমে। সে সব বন্ধুর কথা, চাঁদের হাট আর দাদুভাইয়ের কথা অনেকখানি লিখেছি আমার ‘বন্ধুবান্ধব’ বইটিতে। সেলিনা সিদ্দিকী শুশু থাকে কানাডায়। প্রায় প্রতি বছরই বইমেলার সময় ঢাকায় আসে। বইমেলায় ‘অনন্যা’র স্টলে আসে আমার সঙ্গে দেখা করতে। ‘চ্যানেল আই’তে সাগরের রুমে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিই আমরা। শুশু বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ছোটবোন। আমি কাদের সিদ্দিকীকে খুবই ভালোবাসি, শ্রদ্ধা ও সম্মান করি। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর অবিস্মরণীয় অবদানের কথা বাঙালি জাতি চিরকাল অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। আমি তাঁকে ‘দাদা’ ডাকি। চাঁদের হাটের সেই আনন্দমাখা দিনগুলোতে দাদার কাছে পৌঁছতে ভয় পেতাম। তার পর তিনিই এক সময় বুকে টেনে নিলেন। শুশুর বন্ধু আমরা যারা আছি তাদের সবাইকে তিনি খুব ভালোবাসেন। মুনা মালতি থাকে আমেরিকাতে। শিশু-কিশোরদের জন্য বেশ কয়েকটি চমৎকার বই লিখেছিল। আমেরিকার এক ইউনিভার্সিটির ফিজিক্সের অধ্যাপক। কয়েক বছর আগে ঢাকায় এলো। যথারীতি সাগরের ওখানে আড্ডা। আমরা আবার ফিরে গেলাম আমাদের প্রথম যৌবনের আনন্দমাখা দিনগুলোয়। লিজি রহমান বহু বছর ধরে নিউইয়র্কে। বছর দুয়েক আগে ঢাকায় এসে আমাদের সবাইকে একত্রিত করল চ্যানেল আইয়ের ছাদে। আনন্দে আড্ডায় আর স্মৃতিচারণে সেই সন্ধ্যাটি স্মরণীয় হয়ে গেল। চাঁদের হাটের বন্ধুরা আমরা যখন একত্রিত হই, তখন আমরা বয়সের কথা মনে রাখি না। প্রাণখুলে যে যার মতো কথা বলে যাই, হাসি আনন্দ ঠাট্টা মশকরা, পরস্পরকে খোঁচাখুঁচি কিছুই বাদ দিই না। কয়েক দিন আগে এ রকম এক আড্ডা হলো আমাদের। রলির পুরো নাম নাঈমা ইসলাম রলি। সে থাকে লংআইল্যান্ডে। পেশায় ডাক্তার। বেশ কয়েক বছর পর ঢাকায় এলো। রহমান আমাদের একত্র করল ধানমন্ডির বড় একটা চায়নিজ রেস্টুরেন্টে। সন্ধ্যাবেলায় সেখানে সবাই উপস্থিত। গাড়ি থেকে নেমে দেখি রেস্টুরেন্টের সামনে রহমান পায়চারি করছে। আমার সঙ্গে ছিল খন্দকার আলমগীর। তখনো রলি এসে পৌঁছেনি। খানিক পর এলো সাইফুল আলম। বহু বছর ধরে সে ‘দৈনিক যুগান্তর’ সম্পাদক। বন্ধুরা সবাই ওকে ডাকনাম ধরে ডাকে, ‘লিটন’। চাঁদের হাটের শুরু থেকেই আবদুর রহমান আর সাইফুল আলম এই দুজন ছিল আমাদের নেতা। রহমান ছিল তুখোড় বক্তা আর দুর্দান্ত ছড়া লিখত। সাইফুলের নেতৃত্ব ছিল অন্য রকমের। সে ধীরস্থির ঠাণ্ডা মাথার মানুষ। সংগঠন ও চাঁদের হাটের পাতা গোছাতো সেই বয়সেই পাকা সম্পাদকের মতো।

সেই সন্ধ্যায় সাহানা একটু আগে এসেছিল। আমাদের সবার প্রিয় জাকী ভাই, সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী কিছুদিন আগে চলে গেছেন। তার পর থেকে সাহানা খুবই মনমরা। জীবনসঙ্গীকে গভীর ভালোবাসা আর মমতায় প্রায় ৫০ বছর ধরে আগলে রেখেছিল সাহানা। সেই মানুষ চলে গেলে কে আর স্থির থাকতে পারে? তার পর সেই সন্ধ্যায় ধীরে ধীরে বন্ধুরা সবাই একত্রিত হলো। সাইফুল, রহমান, আলম, সাহানা, হারু, একটু পরে এনায়েত রসূল এবং সবার শেষে হাসান হাফিজ। আফজাল একটু ব্যস্ত। তবু এক ফাঁকে স্ত্রী মনাকে নিয়ে এসে খানিকটা সময় কাটিয়ে গেল। চলছিল আমাদের হৈচৈ হাসি ঠাট্টা আর ছবি তোলা। রেস্টুরেন্ট ভর্তি লোকজন। আমাদের ছেলেমানুষি আর ছবি তোলার বহর দেখে নিশ্চয়ই তারা মনে মনে খুব হাসছিল। নাঈমা ইসলাম রলিকে আমি দেখলাম প্রায় পঁয়তাল্লিশ বছর পর। কিন্তু দেখা হওয়ার পর এমনভাবে কথা বলতে লাগলাম, যেন এই তো গত পরশুই রলির সঙ্গে দেখা হয়েছে। রলির বেশ শাসন করার ক্ষমতা আছে। রহমানকে প্রায়ই শাসন করছিল। পার্টির আয়োজন করেছে রহমান কিন্তু রলি তাকে পকেটে হাত দিতেই দেবে না। আমি হাত দিতে গিয়ে ধমক খেলাম। বুড়ো খোকা-খুকুদের আনন্দ সন্ধ্যা। রাত ১০টা সাড়ে ১০টা বেজে যায় কেউ উঠতে চায় না। যেন উঠে গেলেই চট করে ফুরিয়ে যাবে আমাদের চাঁদের হাটের দিনগুলো। বিদায় নেওয়ার সময় রলি খুব মন খারাপ করে বলল, ‘আবার কবে তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে কে জানে। ভালো থেক সবাই।’ বিদায়ের মতো বিষণ্নতা আর কিছুতে নেই। আলী ইমামের বিদায় আমাদের এখনো বিষণ্ন করে রেখেছে। সেই সন্ধ্যায় আলী ইমামকে নিয়েও আমরা কথা বলেছি। ‘কিশোর বাংলা’ নামে কিশোরদের সাপ্তাহিক পত্রিকা বেরোল ওই অবজারভার ভবন থেকেই। একদিন ইভিনিংশোতে সিনেমা দেখতে গেছি ‘মধুমিতা’য়। সোফিয়া লোরেনের ‘সানফ্লাওয়ার’। হলে ঢুকতে যাওয়ার আগে দেখা হলো রহমান আর সাইফুলের সঙ্গে। রহমান বলল, ‘কিশোর বাংলার ঈদ সংখ্যা বেরোবে। আলী ইমাম আর তুই উপন্যাস লিখবি।’ রহমান তো কথা বলে না, আদেশ করে। লিখলাম জীবনের প্রথম কিশোর উপন্যাস ‘চিতা রহস্য’। আলী ইমাম লিখলেন ‘অপারেশান কাকনপুর’। সেই উপন্যাস আমাকে এত মুগ্ধ করল, কিশোর বাংলায় উপন্যাসটি নিয়ে লিখলাম, ‘বুনোহাঁসের চারণভূমি’। এই লেখা বেরোবার পর আলী ইমাম আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। এখনো তাঁর সেই আলিঙ্গন টের পাই। কতদিনকার কত স্মৃতি তাঁকে নিয়ে। আমার গ্রামনির্ভর গল্পগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পড়তেন। ‘জোয়ারের দিন’ গল্পটির লাইন লাইন বলতে পারতেন। কত অনুষ্ঠানে একত্রিত হয়েছি আমরা। আলী ইমাম যখন অবন ঠাকুর আর তাঁর লেখা নিয়ে কথা বলতেন, সুকুমার রায় কিংবা সত্যজিৎ রায় নিয়ে কথা বলতেন শুনে আমার শুধু মনে হতো একজন মানুষ লেখকদের সম্পর্কে এত তথ্য জানেন? কোন অসীম ক্ষমতা নিয়ে তিনি জন্মেছেন? লেখালেখি করে আমি যখন কিছুটা পরিচিতি অর্জন করেছি, বাংলাবাজার থেকে একের পর এক বই বেরোয়, প্রকাশকরা অ্যাডভান্স টাকা দেন তখন আলী ইমাম আমার নাম দিলেন ‘বাংলাবাজারের রাজপুত্র’। আমার পঞ্চাশ বছর উদ্যাপন উপলক্ষে বন্ধুরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করল শেরাটন হোটেলে। আলী ইমাম দীর্ঘক্ষণ আমাকে নিয়ে কথা বললেন। শুনতে শুনতে আমার চোখে জল এসে গিয়েছিল। আমি কী এত প্রশংসার উপযুক্ত? একজন বড় মানুষই পারেন অন্য কারও সম্পর্কে এভাবে প্রাণখুলে কথা বলতে। আলী ইমাম মানুষ হিসেবে খুব বড় ছিলেন। প্রায় ছয়শোর মতো বই তাঁর বাজারে। পৃথিবীর হেন বিষয় নেই, যা নিয়ে না লিখেছেন। সেই প্রিয় মানুষটিও চলে গেলেন। আমাদের চারপাশ থেকে ধীরে ধীরে নিভে যাচ্ছে একটির পর একটি আলোকশিখা।

আলী ইমাম বিটিভিতে কাজ করতেন। ছিলেন ঊর্ধ্বতনদের একজন। প্রচুর তথ্যচিত্র নির্মাণ করতেন বিটিভির জন্য। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতেন। বহু জনপ্রিয় ছোটদের অনুষ্ঠান প্রযোজনা করেছেন আলী ইমাম। তিনি হাঁটতেন খুব দ্রুত, যেন জীবনের একটি মুহূর্তও নষ্ট করতে চান না। অতিদ্রুত পৌঁছাতে চান তাঁর গন্তব্যে। পোশাকের দিকে নজর দিতেন না। হয়তো জামার বোতাম লাগাতে ভুলে গেছেন, কিন্তু কাজের কথাটি ভোলেননি। এ রকম মানুষ চলে গেলে শিল্প-সাহিত্যের অনেকটা জায়গা ফাঁকা হয়ে যায়। আলী ইমামের অভাব সর্বত্রই আমি খুব অনুভব করি। কেন এত দ্রুত চলে যেতে হলো তাঁকে!

গত দুই বছর ধরে ‘আলী ইমাম সাহিত্য পুরস্কার’ দেওয়া হচ্ছে। আমীরুল ইসলাম ও আসলাম সানী আয়োজন করছে আন্তর্জাতিক শিশুসাহিত্য উৎসবের। দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর শিশুসাহিত্যিক একত্রিত হচ্ছেন শিশু একাডেমির হলরুমে। এ বছর শিশুসাহিত্যিক কাইজার চৌধুরী ও ফরিদুর রেজা সাগরের সঙ্গে আমাকেও দেওয়া হলো ‘আলী ইমাম সাহিত্য পুরস্কার’। আলী ইমাম থাকবেন না, তাঁর নামে একটা পুরস্কার প্রবর্তন করা হবে, সেই পুরস্কার আমি পাব এ আনন্দের চেয়ে বড় আনন্দ হতো যদি তিনি বেঁচে থাকতেন। দেখা হলেই তাঁকে যদি ‘হেলাল ভাই’ বলে ডেকে উঠতে পারতাম, আর তিনি যদি দুই হাতে বুকে জড়িয়ে ধরতেন, সেই পুরস্কার হতো অনেক অনেক বড় প্রাপ্তি।

লেখক : কথাসাহিত্যিক ও প্রধান সম্পাদক, কালের কণ্ঠ

সর্বশেষ খবর