রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আলু পিঁয়াজে অগ্নিমূল্য

শীতেও সবজির দাম চড়া

শীত মৌসুমকে বলা হয় সবজির মৌসুম। আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, লাউসহ অসংখ্য সবজি এ মৌসুমে ওঠে। স্বভাবতই দাম থাকে মানুষের ক্ষমতার মধ্যে। গত অর্ধশতাব্দীতে এবারই প্রথম ঘটেছে ব্যতিক্রম। নতুন-পুরান দুই ধরনের আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৮০ টাকায়। বেড়েছে প্রায় প্রতিটি সবজির দাম অবিশ্বাস্যভাবে। পিঁয়াজের দাম কমেনি নতুন পিঁয়াজ বাজারে ওঠার পরও। প্রতি কেজি পুরান পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। নতুন পিঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০ টাকা। শীতকালে লাউয়ের দাম কমে সবার জানা। তবে এক মাস আগে যে লাউ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা, তা এখন ১০০ টাকা। শীতের সবজি শিমের দাম কমার বদলে বেড়েছে গত দুই সপ্তাহে। ফুলকপি, পাতাকপি সবকিছুর দাম চড়া। চলতি সপ্তাহে ২০০ টাকা কেজি দরে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোনালি, সোনালি হাইব্রিড ও লেয়ার মুরগির দামও বেড়েছে। সোনালি ৩২০, সোনালি হাইব্রিড ৩০০, দেশি ৫০০ থেকে ৫২০, লেয়ার ২৯০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে মুরগির দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। মাছের বাজার আগের উচ্চমূল্যেই স্থির রয়েছে। নতুন আদা ওঠা সত্ত্বেও বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৫০ টাকায়। রসুনের দাম ২০০ টাকার ওপরে। জিরার কেজি ১১০০-১২০০ টাকা। এসব পণ্যের দাম গত বছরের এই সময়ের চেয়ে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ৭-৮ গুণ বেশি। সারা বছর নিত্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি দেশবাসীকে জ্বালিয়েছে। আশা করা হয়েছিল শীত মৌসুমে তার লাগাম টেনে ধরা যাবে। কিন্তু এ সময় আলু ও পিঁয়াজের বাজারে যেভাবে আগুন লেগেছে তাতে এ দুটি পণ্য ছুঁতেও ভয় পাচ্ছে ভোক্তারা। সবজির মূল্যবৃদ্ধিতে মূল্যস্ফীতি সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। গত পাঁচ বছরে এ সময়ে আলু-পিঁয়াজ কখনো বর্তমানের অর্ধেক দামেও বিক্রি হয়নি। ফলে আগামীতে নিত্যপণ্যের দাম কী দাঁড়াবে ইতোমধ্যে সেই প্রশ্ন উঠেছে।

 

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর