শিরোনাম
রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বেহাল স্বাস্থ্যসেবা

জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সুনজর দিন

স্বাস্থ্যসেবার জন্য ঢাকামুখী হওয়ার প্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না। দেশজুড়ে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক এবং বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসাসুবিধা গড়ে উঠলেও কমছে না আস্থার সংকট। সরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে লাখ লাখ টাকা খরচ করে কেনা হয় যন্ত্রপাতি। অথচ এগুলোর আয়ু বছর না ঘুরতেই শেষ হয়ে যায়। রংপুর জেলার আট উপজেলার মধ্যে ছয় উপজেলা হাসপাতালেই এক্স-রে মেশিন নষ্ট। এ চিত্র শুধু রংপুরে নয়, সারা দেশের জেলা-উপজেলার সরকারি হাসপাতালগুলোর সাধারণ চিত্র। অধিকাংশ হাসপাতালে আধুনিক মানের যন্ত্রপাতি নেই। কোথাও যন্ত্রপাতি থাকলেও নেই চিকিৎসক বা টেকনিশিয়ান। জনবলের অভাবে বিকল হয়ে আছে অনেক যন্ত্রপাতি। সরকারি হাসপাতালে ছুটির দিনে বন্ধ থাকে বহির্বিভাগ ও প্যাথলজি। এতে ভোগান্তি বাড়ে রোগীর। ন্যূনতম সেবার জন্য ঢাকার পথে রওনা হয় মানুষ। ফলে ঢাকামুখী রোগীর ভিড় বাড়ছে। বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারসহ সব ধরনের জনবল সংকট চরমে। চতুর্থ শ্রেণির জনবল ঘাটতি থাকায় হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। হবিগঞ্জের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর অবস্থা খুবই নড়বড়ে। চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেই কনসালট্যান্ট সার্জারি, কনসালট্যান্ট গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ফলে দীর্ঘদিনেও চালু করা যায়নি অপারেশন থিয়েটার। জোড়াতালি দিয়ে চলছে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা ৫০ শয্যার হাসপাতাল। জনবল সংকটে চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালের বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিভাগে খাতাকলমে ডাক্তার থাকলেও তার মধ্যে আটজন রয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেষণে। এ কারণে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগের শেষ নেই। সময়মতো চিকিৎসক পাওয়া যায় না, রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা করাতে হয় বাইরে থেকে। চিকিৎসা মানুষের অন্যতম প্রধান মানবাধিকার। এ মানবাধিকার রক্ষায় জেলা-উপজেলা পর্যায়ের চিকিৎসা চাহিদার দিকে বাড়তি নজর দিতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর