মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বই উৎসব

নতুন বইয়ের আনন্দই আলাদা

প্রতিবারের মতো বছরের প্রথম দিন সোমবার পালিত হয়েছে বই উৎসব। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বই তুলে দিয়ে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘নতুন বইয়ের ঘ্রাণ, নতুন বই পড়ে দেখা, এতে মলাট লাগানো এসবের আনন্দটাই আলাদা, বই পড়বে এবং বইয়ের যত্ন নেবে।’ জাতির পিতা বলতেন, ‘শিক্ষায় যে খরচ সেটা হচ্ছে বিনিয়োগ’। কাজেই আমাদের শিক্ষার ক্ষেত্রে যত টাকা লাগে দেওয়া হবে। বিশ্বে যত নামিদামি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, তারা কীভাবে শিক্ষা দেয়, কী কারিকুলাম শেখায় সেই পদ্ধতি ব্যবহার করে সে রকম আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে বাংলাদেশে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে কারিগরি শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাই যে শুধু সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে তা নয়, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হলে কারিগরি শিক্ষার বিশেষ প্রয়োজন রয়েছে। এ বছর ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩২৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ কপি নতুন বই বিতরণ করা হচ্ছে। দেশের প্রতিটি উপজেলায় ইতোমধ্যে পাঠ্যপুস্তক পাঠানো হয়েছে। বছরের প্রথম দিন শিশুদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেওয়া সরকারের একটি অসামান্য কৃতিত্ব। উন্নত বিশ্বে যেটি সম্ভব হয়নি সে অভাবনীয় কৃতিত্বই দেখিয়েছে বাংলাদেশ। বিনামূল্যে সরকারের পক্ষ থেকে বছরের প্রথম দিন বই তুলে দেওয়ার কর্মসূচি শুরুর আগে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকরা ছিলেন বই ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত বই বছরের শুরুতে পাওয়া ছিল দুষ্কর। পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে নোটবই কিনতে বাধ্য করা হতো। গড়ে ৫-৬ গুণ বেশি দামে কিনতে হতো নোটবই। বিনামূল্যে বই বিতরণের পর সেই জিম্মি অবস্থার অবসান ঘটেছে। কাগজ ও মুদ্রণসামগ্রীর দাম কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাওয়ার পরও সময়মতো বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া নিঃসন্দেহে একটি বড় কৃতিত্ব। আগামীতে তা যাতে আরও সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হবে- এমনটিই প্রত্যাশিত।

সর্বশেষ খবর