মঙ্গলবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

অর্থনীতিতে বিসংবাদ

ঘুরে দাঁড়াতে সংকল্পবদ্ধ হতে হবে

নতুন বছরে অস্তিত্বের স্বার্থেই দেশের অর্থনীতি যাতে ঘুরে দাঁড়ায় তা নিশ্চিত করা সরকারের জন্য অবশ্য পালনীয় বলে বিবেচিত হবে। এ জন্য প্রথমেই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অগ্রাধিকার দিতে হবে। রিজার্ভের পতন ঠেকানো, রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বাড়ানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঘটছে ক্রমান্বয়ে। প্রবাসী আয় সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। রপ্তানি আয় বাড়লেও খুব বেশি বাড়ছে না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পণ্যের সরবরাহ বাড়াতে হবে। পণ্য আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে তা করা যেতে পারে। তাতে আমদানিকৃত পণ্যের দাম ও মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমবে এমনটিই আশা করা যায়। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পতন ঠেকাতে প্রবাসী আয় বাড়াতে বিনিময় হার উন্মুক্ত করাই হবে শ্রেয়। রপ্তানি আয় ও আমদানি ব্যয়ের ভারসাম্য আনতে হবে। মূল্যস্ফীতি আমাদের দরিদ্র, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের শত্রু। এখনো আমাদের মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে। যেমন করেই হোক মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার বিকল্প নেই। মূল্যস্ফীতি কমানোর একটাই উপায় তা হলো, নীতিসুদহার ব্যবহার করে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করা। যে পরিমাণ রপ্তানি আয় হচ্ছে, তা দিয়ে আমদানি ব্যয় মেটানো যাচ্ছে না। রিজার্ভ থেকে ডলার নিয়ে আমদানি ব্যয়ের ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে। ডলারের ওপর চাপ পড়ায় যুক্তরাষ্ট্র সুদহার বাড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমাদের মতো দেশগুলো থেকে ডলার বের হয়ে যাওয়ার ফলে আরও শক্তিশালী হলো ডলার। এতে টাকার দাম প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে। বিগত বছর ছিল বিশ্বমন্দার বছর। নতুন বছরেও তার বিষনিঃশ্বাস অনুভূত হতে পারে। এ কথা বিবেচনা করে অর্থনীতিকে শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করাতে হবে। অর্থ পাচার বন্ধে কঠোর হতে হবে। হুন্ডির ভয়াল থাবা যেভাবেই হোক নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। হুন্ডিবাজদের জাতীয় শত্রু হিসেবে বিবেচনা করে তাদের দৌরাত্ম্য থামাতে হবে শক্ত হাতে।

সর্বশেষ খবর