বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কমছে পোশাক রপ্তানি

নতুন বাজার খুঁজতে হবে

বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় দুই বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে বিদায়ী বছরে রপ্তানি কমেছে। রপ্তানি কমার পেছনে বৈশ্বিক মন্দাই ছিল প্রধানত দায়ী। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে তৈরি পোশাকের প্রধান দুই বাজারে পোশাক রপ্তানি গত বছর হ্রাস পেয়েছে ব্যাপকভাবে। বিজিএমইএ তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের প্রথম ১০ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ডলার ভ্যালুতে কমেছে ২২.৭১ শতাংশ। পরিমাণের দিক থেকে কমেছে ২৩.৮০ শতাংশ। একই সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানি ডলার ভ্যালুতে কমেছে ২৪.৭৫ শতাংশ। পরিমাণের দিক থেকে কমেছে ২৯.৫১ শতাংশ। ওই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে সারা বিশ্ব থেকে ডলার ভ্যালুতে পোশাক আমদানি কমেছে ১৩.১৪ শতাংশ। পরিমাণের দিক থেকে ১৬.৭৪ শতাংশ কমেছে। বাংলাদেশ থেকে ওই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ডলার ভ্যালুতে পোশাক আমদানি কমেছে ১৭.৩২ শতাংশ। পরিমাণের দিক থেকে ১৭.১৩ শতাংশ। রপ্তানির পরিমাণ কমলেও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৃতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান অপরিবর্তিতই আছে। চলমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও দেশটির পোশাকের খুচরা বিক্রেতা এবং ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে পুরনো পণ্যের মজুদ থাকায় যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমছে। বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান উৎস তৈরি পোশাক। সবচেয়ে বড় দুই বাজার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমে যাওয়া উদ্বেগজনক। উদ্বেগের সবচেয়ে বড় কারণ হলো দেশের রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকের ওপর বড় মাপে নির্ভরশীলতা। বিশ্ববাজারে যে কোনো পণ্যের চাহিদা হঠাৎ কমতে বা বাড়তে পারে। এ কথাটি মনে রেখে রপ্তানি বৈচিত্র্যের দিক নজর দিতে হবে। নতুন বাজারও খুঁজতে হবে। শুধু তৈরি পোশাকের ওপর নির্ভরশীলতা কোনোভাবেই ভালো কথা নয়। কিন্তু রপ্তানিযোগ্য নতুন পণ্য উদ্ভাবন ও রপ্তানিতে চোখে পড়ার মতো কোনো বিকল্প গড়ে উঠছে না। যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর