বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

হাড় কাঁপানো শীত

বিপর্যস্ত উত্তর জনপদ

জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ থেকে হেমন্ত শরৎ বসন্ত ঋতু বিদায় নিতে চলেছে। দীর্ঘায়িত হয়েছে গ্রীষ্ম। শীতের সময়সূচি পাল্টে গেছে। কয়েক দশক ধরে শীত আসছে কিছুটা দেরিতে। এবার সে বিলম্ব ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে দেরিতে আগমন ঘটলেও পৌষের দ্বিতীয়ার্ধে তা স্বরূপে নিজেকে তুলে ধরছে। হাড় কাঁপানো শীত থাবা বিস্তার করছে উত্তর জনপদে। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে এক থেকে দুটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। পৌষের মাঝামাঝি শুরু হওয়া শীতের তীব্রতা দীর্ঘায়িত হতে পারে। গত মঙ্গলবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বেশির ভাগ এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল, ফরিদপুর ও মাদারীপুর এবং খুলনা বিভাগের যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার বেশ কিছু এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্মর্তব্য, তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলে। ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি হলে মাঝারি, ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে তীব্র এবং তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রির নিচে নেমে এলে তাকে অতি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। তীব্র শীতে দেশের উত্তরাঞ্চলের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। বেড়েছে শীতকেন্দ্রিক রোগবালাই। ঘনকুয়াশার কারণে রাতে যান চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। প্রচ- শীতে বৃদ্ধ ও শিশুরা কষ্ট পাচ্ছে। উত্তর থেকে আসা হিমেল হাওয়া গরিব-দুঃখীদের দুর্ভোগ বাড়াচ্ছে। শীতে গরিব মানুষের কষ্ট নিবারণে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। শীতের এই সময়ে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো সমাজের ধনী ও সম্পন্ন লোকদের কর্তব্য হওয়া উচিত। শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে তারা শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে পারেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর