বৃহস্পতিবার, ৪ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

সরকারকে দৃঢ় হতে হবে

মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের কারণে বিপন্ন হয়ে পড়ছে কক্সবাজারের মানুষ। ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে বুকে ধারণ করতে গিয়ে দেশের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন এলাকা তার বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে। কক্সবাজারের পাহাড় ও জঙ্গল কেটে জীববৈচিত্র্যের সর্বনাশ ঘটিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য গড়ে তোলা হয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এ ক্যাম্পগুলো এলাকাবাসীর কাছে অভিশাপ বলে বিবেচিত হচ্ছে। তারা কারণে-অকারণে স্থানীয়দের ওপর চড়াও হচ্ছে। ক্যাম্পের বাইরে এসে পরিচয় গোপন রেখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। যা স্থানীয়দের কর্মসংস্থানে বিপর্যয় ডেকে আনছে। এ ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। অর্থবিভাগ থেকে পাঠানো একাধিক নথিতে যে বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও অর্থবিভাগের নথিপত্রের তথ্যমতে, প্রথম দিকে রোহিঙ্গাদের জীবনধারণের জন্য জাতিসংঘ, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, বিশ্বব্যাংকসহ উন্নয়ন সহযোগীরা আর্থিক ও খাদ্য-সহায়তা দিয়ে আসছিল। কিন্তু করোনা মহামারি, বৈশ্বিক সংকটসহ নানা কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি আর্থিক ও খাদ্য-সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে উন্নয়ন সহযোগীরা। ফলে রোহিঙ্গারা নিজেদের চাহিদা মেটাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ক্যাম্পের বাইরে চলে আসছে। কাজের খোঁজে তারা চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা ঢাকায় এমনকি ভুয়া পাসপোর্ট বানিয়ে দেশের বাইরেও চলে যাচ্ছে। যা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ ও মালয়েশিয়ায় গিয়ে দুর্বৃত্তপনায় জড়িয়ে পড়ছে। তাদের কারণে ক্ষুণœ হচ্ছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিও। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ ও দাতা দেশগুলোর কাছে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বললেও তারা তা কানে নিচ্ছে না। বরং তারা প্রত্যাবাসনে বাদ সাধছে। এ অবস্থার অবসানে সরকারকে আরও দৃঢ় হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর