শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

নির্বাচনি সহিংসতা

নির্বাচন কমিশনকে কড়া হতে হবে

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন আগামীকাল। গতকাল সকালেই শেষ হয়েছে প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচারণা। গত ছয়টি নির্বাচনের তুলনায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা অপেক্ষাকৃত শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তারপরও নির্বাচনি প্রচারণাকালে সহিংসতার শিকার হয়ে পাঁচজন প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার মুন্সীগঞ্জ ও মঠবাড়িয়ায় যথাক্রমে গুলি ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে দুজনকে। নিহতরা আওয়ামী লীগ কর্মী। মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মৃণালকান্তি দাসের এক সমর্থককে সদরের মুন্সীকান্দি গ্রামে নৌকার ক্যাম্পে গুলি করে হত্যা ও আরেকজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে কাঁচি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল চলছে। পুরো এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বুধবার মধ্যরাতে সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের মুন্সীকান্দি গ্রামে নৌকার ক্যাম্পে এ হামলা হয়। এতে নৌকার সমর্থক ডালিম সরকারের (৩৫) বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সোহেল মিয়া নামে আরেক সমর্থককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী কাঁচি প্রতীকের সমর্থকরা এ হামলা ও হত্যার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি নৌকা সমর্থকদের। রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারীর ভাই শিপন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী দল ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এ সময় গুলিবিদ্ধ ডালিম সরকারকে বাঁচাতে গেলে সোহেলকে পিটিয়ে আহত করা হয়। মঠবাড়িয়ায় একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক আওয়ামী লীগ কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের সংঘাত প্রত্যাশিত নয়। গত কয়েকটি নির্বাচনের তুলনায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে তুলনামূলকভাবে সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা কম হয়েছে। তবে এতে আত্মপ্রসাদের কোনো সুযোগ নেই। নিজেদের সভ্য সমাজের অংশ হিসেবে দাবি করতে হলে সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে। নির্বাচন কমিশন এ যাবৎ যে দৃঢ়তা দেখিয়েছে তা অব্যাহত রাখাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর