শনিবার, ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

সড়ক দুর্ঘটনা

সতর্কতার বিকল্প নেই

সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিনই প্রাণহানি ঘটছে। তীব্র শীত ও কুয়াশার চাদরে ঢাকা দেশের সড়ক পথ আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার সবচেয়ে বড় শিকার মোটরসাইকেল চালকরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে স্পুটনিক গতিতে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে। শুধু ঢাকা মহানগরীতে যত মোটরসাইকেল চলাচল করে তার পরিমাণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বেশি। বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭৯৩ জন। নিহতদের মধ্যে নারী ৫৯ ও শিশু ৬৪ জন। দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫১৭টি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সংগঠনটির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৩.৭৯ শতাংশ, প্রাণহানি ২৩.০৪ শতাংশ, রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৩.১৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১২.৮৯ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬.৪৪ শতাংশ, প্রাণহানি ১৬.৯৯ শতাংশ, খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১২.৩৭ শতাংশ, প্রাণহানি ১২.৬৯ শতাংশ, বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৭.৫৪ শতাংশ, প্রাণহানি ৭.৪২ শতাংশ, সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫.৬০ শতাংশ, প্রাণহানি ৫.৮৫ শতাংশ, রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১১.০২ শতাংশ, প্রাণহানি ১০.১৫ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ১০.০৫ শতাংশ, প্রাণহানি ১০.৯৩ শতাংশ ঘটেছে। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১২৩টি দুর্ঘটনায় ১১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ২৯টি দুর্ঘটনায় ৩০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি ৪১টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। সড়ক দুর্ঘটনার রাশ টেনে ধরতে যানবাহন চালক, পথচারী এবং ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বশীল ভূমিকা কাম্য। একটি দুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট পরিবারই শুধু নয়, আরও অনেকের জন্য বিড়ম্বনা ডেকে আনে। ট্রাফিক আইন মেনে চললে সড়ক দুর্ঘটনা শূন্য পর্যায়ে না হোক এর পরিমাণ ৯০ শতাংশ হ্রাস করা সম্ভব হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর