সোমবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

নির্বাচনের পর যা হতে পারে

মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মাদ আলী শিকদার পিএসসি (অব.)

নির্বাচনের পর যা হতে পারে

এ লেখাটি যখন ছাপা হবে তখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল সবাই জেনে যাবেন। কিন্তু লেখাটি দুই দিন আগে শেষ করতে হচ্ছে বিধায় নির্বাচনের দিন কেমন গেল এবং নির্বাচনি ফল সম্পর্কে এই লেখায় সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে জাতীয় নির্বাচন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সুতরাং কিছু তো অনুমান করা যায়। রাজনীতির বড় এক পক্ষ বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তাতে রাজনৈতিকভাবে বিএনপির জন্য এটা ভালো না মন্দ হলো তা দেখার জন্য আরও কয়েক মাস হয়তো অপেক্ষা করতে হবে। তবে রাজনৈতিক কৌশল ও সিদ্ধান্তে ২০১৪ সালে যেখানে ছিল, ২০২০-২০২৪ সালে এসেও বিএনপি ওই একই অবস্থানে আছে। তাদের রাজনীতি ও আন্দোলনে নতুনত্ব কিছুই নেই। স্থবিরতা সবকিছুকে পঙ্গু করে দেয়, তা সেটা রাজনীতি অথবা অন্য যা কিছুই বলেন না কেন। তাই আগামীতে বিএনপি বড় কিছু করতে পারবে এমন ভাবনার ভিত্তি ও যুক্তি কোনোটাই নেই। তবে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বয়কট করার কারণে দল ভাঙার যেরকম আশঙ্কা ছিল তার অনেকটাই বিএনটি ঠেকাতে পেরেছে। এটা সম্ভব হয়েছে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তির কারণে নয়, বরং গত ১৫ বছরে রাজনীতির জনমানসতন্ত্রে যে পরিবর্তন ঘটতে পারত, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সেটা ঘটাতে পারেনি বলেই এ যাত্রায় বিএনপি কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছে। শুনেছি বিএনপির কিছু মধ্যমসারির প্রভাবশালী নেতা নাকি এখন ব্যাংকক-সিঙ্গাপুরে ভ্রমণবিলাসে দিন কাটাচ্ছেন। তাদের আবার অর্থ জোগাচ্ছেন এমনই ভূতে, যারা বর্তমান সরকারের বদৌলতে সিঙ্গাপুরে সম্পদের পাহাড় সৃষ্টি করেছেন। তবে রাজনীতি করতে হলে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। বিএনপির একজন প্রয়াত অগাধ শুভাকাক্সক্ষী একবার বলেছিলেন, লন্ডনের দাওয়াই দ্বারা বাংলাদেশের রাজনীতি চলবে না। বড় খাঁটি কথা বলেছিলেন তিনি। এখন মানুষের মুখে মুখে কথা উঠেছে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বিএনপি কী করবে, কোন পথে যাবে। আমার ধারণা এ প্রশ্নটি বিএনপির কোনো সিনিয়র নেতাকে করলে তিনিও এ মুহূর্তে তার উত্তর দিতে পারবেন না। একটি রাজনৈতিক দল যখন নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতাকে মূল্যায়ন না করে অপর কোনো পক্ষের ওপর নির্ভর করে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেয় তখন যা হওয়ার বিএনপির বেলায় এখন সেটাই হয়েছে। আমার আরও ধারণা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূরাজনীতির হিসাবেও বিএনপি বড় ভুল করেছে। বিএনপির জন্মটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় হয়নি, সামরিক শাসকের গর্ভ থেকে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় হয়েছে। কৃত্রিম কিছু দীর্ঘস্থায়ী হয় না। বাংলার মাটি, মানুষ, আকাশ-বাতাস, ফুল-ফলের যে সামষ্টিক পরিচয়, সেই বাঙালি সংস্কৃতির সবকিছুকে পদদলিত করে বিএনপির জন্ম হয়। তৃণমূল থেকে দল গঠন ও সংগ্রামের ভিতর দিয়ে নয়, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে একের পর এক সহিংসতার প্রধান সুবিধাভোগী হিসেবে সরাসরি ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতাকে ব্যবহার করে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। কিন্তু জিয়া-উত্তর বিএনপির জন্য ওই কৃত্রিমতা থেকে বের হওয়ার সুযোগ এসেছিল। কিন্তু সেটি তারা গ্রহণ করেনি। জিয়ার খুবই পছন্দের লোক ছিলেন এরশাদ, যার কারণে তখন সিনিয়র ও উপযুক্ত মুক্তিযোদ্ধা কয়েকজন জেনারেল থাকার পরও জিয়া সেনাপ্রধান করেন এরশাদকে। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পরপরই পরিবারের প্রতি নজিরবিহীন সহানুভূতি ও পৃষ্ঠপোষকতা দেখান এরশাদ। ব্রিটিশ সময় থেকে শুরু করে পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশের প্রথমদিকে সেনাপ্রধানের আবাসিক ভবন হিসেবে সুনির্দিষ্ট থাকা ঢাকা সেনানিবাসে সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ও বৃহৎ বাড়িটি এরশাদ জিয়া পরিবারের জন্য বিনা পয়সায় চিরদিনের জন্য বরাদ্দ দিয়ে দেন। এর  পেছনে কী কারণ থাকতে পারে তা নিয়ে বাজারে অনেক কথা আছে। সেগুলো এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। জিয়ার থেকে এরশাদের রাজনীতির তেমন কোনো পার্থক্য ছিল না। কিন্তু এত কিছুর পরও জিয়া-উত্তর নব্য বিএনপির সময়কালে প্রায় ৪৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ছিল বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে যোগ দেওয়া, যার মাধ্যমে বিএনপি আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার সুযোগ পায়। এই একটি ব্যতীত গত ৪৫ বছরে একের পর এক সিদ্ধান্তে তারা রাজনৈতিক ব্লান্ডার করেছে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে অপ্রত্যাশিত ও আকস্মিকভাবে জয়লাভ করে সরকার গঠন করতে পারাটা ছিল বিএনপির জন্য বিরাট সুযোগ। এই সুযোগের পথ ধরে এরশাদবিরোধী আন্দোলনে অর্জিত শক্তি এবং রাষ্ট্রক্ষমতার ছত্রচ্ছায়ায় সামরিকতন্ত্র ও ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্ত্বের রাজনীতির বলয় থেকে বের হয়ে বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের সবকিছুকে অবলম্বন করতে তারা নতুন যাত্রা শুরু করতে পারত। তাতে মুক্তিযুদ্ধ ও ভারতবিরোধী অপবাদ থেকে বিএনপি মুক্ত হয়ে যেত। একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের বাস্তব প্রতিপক্ষ হিসেবে গণ্য হতো বিএনপি এবং তার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের মৌলিকত্ব নিয়ে চরম বিভাজিত রাজনীতির অবসান ঘটত। কিন্তু পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মধ্যস্থতায় জামায়াতের সঙ্গে গোপনে আসন সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনে জয়লাভ করে বলেই ধারণা করা হয় আইএসআইয়ের পরামর্শে বিএনপি পরিবর্তনের পথে না হেঁটে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনীতিতে বহাল থাকে। আইএসআইয়ের সঙ্গে বিএনপির ঘনিষ্ঠতার আরও নিদর্শনও পরে দেখা যায়। যার সূত্র ধরেই বিএনপি জামায়াতের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হয়, ২০০১-২০০৬ মেয়াদে জামায়াতের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী নেতাদের মন্ত্রী বানায়, ভারতের বিরুদ্ধে বিশালভাবে আন্তসীমান্ত সন্ত্রাসে জড়িয়ে পাকিস্তানের প্রক্সি হয়ে কাজ করে, ক্ষমতায় বসে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিত আক্রমণ এবং মুক্তিযুদ্ধের রাজনীতিকে চিরতরে কবর দেওয়ার লক্ষ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্টে আওয়ামী লীগের সমাবেশের ওপর গ্রেনেড হামলা চালায়। এই ঘটনাগুলো একদিকে যেমন রাজনীতিকে সংঘাতময় করেছে, তেমনি দেশের অভ্যন্তরে নয়, বহির্বিশ্বেও বিএনপির ভাবমূর্তি দারুণভাবে বিনষ্ট হয়েছে। যার ফলে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত সর্বোকৃষ্ট নির্বাচনে বিএনপি মাত্র ৩০টি আসন পায়। ২০১৪ সালে নির্বাচনের প্রাক্কালে সমঝোতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি আবার সহিংসতার পথ বেছে নেয়। সহিংসতা এবং বিদেশিদের কাছে ধরনা দিয়ে এতদিনে বিএনপি একটি রাজনৈতিক লক্ষ্যও অর্জন করতে পারেনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দুই-আড়াই বছর আগে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে নেমে তারা নিজেদের পয়েন্ট অব নো-রিটার্নে নিয়ে যায়, যা ছিল বড় রকমের অদূরদর্শিতার পরিচায়ক। খেলার শুরুতেই ট্রাম্পকার্ড ছেড়ে দেওয়ায় শেষ মুহূর্তে এসে তাদের হাতে আর কিছু ছিল না। যুক্তি, কৌশল আর বুদ্ধিতে ব্যর্থ হয়ে আবার আত্মঘাতী সহিংসতার পথ ধরে। যার ফলে এখন পর্যন্ত যা ঘটেছে তাতে ধরে নেওয়া যায় এবারও বিএনপিকে শূন্য হাতে ফিরে আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হবে। আগামী পাঁচ বছরে কী হবে তা এখন বলা যায় না। তবে বিএনপি যদি বিগত সময়ের ভুল থেকে শিক্ষা না নেয় এবং পুরনো পথে হাঁটতে থাকে তাহলে একসময়ে এসে পাকিস্তানের সামরিক শাসক আইয়ুব খানের কনভেনশন মুসলিম লীগের মতো সাইনবোর্ডধারী দল হয়ে যেতে পারে। আর বিএনপি যদি বাঙালি সংস্কৃতি এবং মুক্তিযুদ্ধের সবকিছুকে গ্রহণ ও ধারণ করে নতুন যাত্রা শুরু করতে পারে তাহলে সেটা বিএনপির জন্য তো বটেই, বাংলাদেশের সামগ্রিক রাজনীতিতে নতুন দিগন্তের সূচনা করতে পারে।

তাতে আগামী ৫-১০ বছরের মাথায় বিএনপির জন্য আবার ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা তৈরি হবে। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ২৩ বছর সংগ্রাম করে বাংলাদেশ স্বাধীন করতে পেরেছে। বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পর ক্ষমতায় আসতে ২১ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে শটকার্ট রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূরাজনীতির হিসাব-কিতাব বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য বড় ফ্যাক্টর। ধর্মীয় দ্বিজাতিতত্ত্বের ভ্রান্ত রাজনীতি থেকে পাকিস্তানের জনগণ আজ বের হয়ে আসার চেষ্টা করছে, সেখানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বিএনপি ওই ভ্রান্ত পথে থাকলে কী হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। শেষ দিকে এসে বিএনপির সুর নরম দেখা গেছে। নির্বাচন প্রতিহত, ঠেকানো অথবা হতে দেওয়া হবে না, এমন বাগাড়ম্বর আর শেষ দিকে দেখা যায়নি। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনটি যদি মোটাদাগে ত্রুটিহীন ও শান্তিপূর্ণ হয় এবং তাতে অন্তত শতকরা ৫১-৫৫ ভাগ ভোট পড়ে তাহলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে দেশে-বিদেশে কোনো প্রশ্ন উঠবে না। আশা করা যায় টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, যে কথাটি আমি ২০২৩ সালের ১০ এপ্রিলে এই কলামে আমার লেখার শিরোনাম করেছিলাম। তবে নতুন সরকারের জন্য সামনে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। অর্থনীতি যারা বোঝেন কি না বোঝেন, সবার মনে একটা আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ২০২৪ সালে দেশের অর্থনীতি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা ইতোমধ্যে তার কিছু কারণ তুলে ধরেছেন। এর সঙ্গে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত তো আছেই। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী একবার বলেছেন, দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এটা তো এখন সবাই বুঝতে পারছেন দেশি-বিদেশি কিছু পক্ষ জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে বহুমুখী ষড়যন্ত্র করেও কিছু করতে পারেনি, তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু আগামীতে তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এমনটি ভাবার কারণ নেই। দেশের মানুষ রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিষয়টি যত সহজে বুঝতে পারেন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি নিয়ে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি ততটা বুঝতে পারেন না। গত ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রধান শিরোনাম ছিল-রপ্তানিতে অশনিসংকেত, টানা তিন মাস ধরে কমছে আয়, নেতিবাচক প্রভাব তৈরি পোশাকেও। তবে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখাচ্ছে প্রবাসী আয়। দ্রব্যমূল্য নিয়ে মানুষ হতাশায় ভুগছে। মানুষের ধারণা জন্মেছে সব ব্যবসা ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের কারসাজি এবং প্রশাসনের দুর্নীতির কারণে সাধারণ মানুষ নিষ্পেষিত হচ্ছে। রাষ্ট্রক্ষমতার চেয়ে সিন্ডিকেট ক্ষমতা যেন বড় না হয় তার জন্য কড়া বার্তা নতুন সরকারের শুরুতেই দেওয়া প্রয়োজন। তাই নতুন সরকারকে প্রথম রাতেই বিড়াল মারতে হবে। নতুন মন্ত্রিসভা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কারা পাচ্ছেন তা দেখে মানুষ আশান্বিত হতে চায়। মানুষ ভীষণভাবে প্রত্যাশা করছে নতুন সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সত্যিকার অর্থেই জিহাদ ঘোষণা করবে। নতুন সরকারের চ্যালেঞ্জ শুধু অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্র থেকে উপেক্ষিত হবে তা নয়, বৈশ্বিক ঘটনা প্রবাহও দেশের অভ্যন্তরীণ সবকিছুর ওপর দারুণ প্রভাব ফেলবে। ইউক্রেন থেকে গাজা, উত্তর আফ্রিকা এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও সংঘর্ষের আরও  বিস্তৃতি ঘটবে। তাতে বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন ভীষণভাবে থমকে যেতে পারে। সম্প্রতি একজন মার্কিন জেনারেল যেমনটি বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে চীন-মার্কিন সরাসরি সংঘর্ষ শুরু হলে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। সুতরাং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর আশান্বিত হওয়ার মতো উপাদান যেমন আছে, তেমনি অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, অর্থনীতিসহ আঞ্চলিক ও বিশ্ব অঙ্গনের ঘটনা প্রবাহের কারণে আশঙ্কার জায়গাও আছে।

 

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

[email protected]

সর্বশেষ খবর