বুধবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

নির্বাচনোত্তর সহিংসতা

ওদের আইনের আওতায় আনুন

নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে দুজন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। ৭ জানুয়ারি দেশজুড়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্র দলগুলোই শুধু অংশ নেয়। আওয়ামী লীগের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচন বর্জন করে। আশা করা হয়েছিল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সেহেতু বড় মাপে একই গোত্রের সেহেতু নির্বাচনি সহিংসতা এড়ানো যাবে। কিন্তু সভ্যতা ও গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে আমরা কতটা পিছিয়ে তার প্রমাণ রেখেছে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জয়ী ও পরাজিত দুই পক্ষের মধ্যে কান্ডজ্ঞান-বর্জিত সহিংসতার ঘটনা। প্রতিপক্ষের ওপর সহিংস হামলায় হতাহত শুধু নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে। নেত্রকোনা-৩ আসনের আটপাড়া উপজেলার দেওগাঁও গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাকের বিজয় মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে পরাজিত নৌকার সমর্থকদের হামলায় নুরুল আমিন (২৩) নামে আহত যুবকের মৃত্যু হয়েছে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ইসমাইল হোসেন আসিফ (২২) নামে এক তরুণকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলীনগর এলাকার ফাসিয়াতলায় বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিজয় মিছিলে হাতবোমা হামলা হয়েছে। সোমবার সকালের এ ঘটনায় আহত হয়েছে ১০ জন। রাজশাহী-৬ আসনের বাঘা উপজেলা নৌকার পক্ষে কাজ করায় দুজনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লায়েব উদ্দিন লাবলুর কর্মীরা। ঝিনাইদহে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমির নৌকা সমর্থকদের অর্ধশত বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা দেশের গণতন্ত্র চর্চা শুধু নয়, সভ্যতার ক্ষেত্রেও যে আমরা পিছিয়ে সে নিষ্ঠুর সত্যটি স্পষ্ট হয়েছে। আমরা আশা করব, সহিংসতায় জড়িতদের পরিচয় যাই হোক তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর