সোমবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা

রোজায় পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

প্রধানমন্ত্রী নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের আসন্ন পবিত্র রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি মজুদবিরোধী অভিযান নিয়মিত পরিচালনার নির্দেশনা দিয়ে বলেছেন, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যাতে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকতে পারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবনিযুক্ত মন্ত্রীদের নিয়ে শনিবার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে টুঙ্গিপাড়ার বাসভবনে নতুন মন্ত্রীদের নিয়ে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক করেন। মাহে রমজান কৃচ্ছ্র সাধনের মাস। এ মাসে মুনাফাখোরি মনোভাব কোনোভাবেই কাম্য নয়। কিন্তু চোরা নাহি শোনে ধর্মের কাহিনি প্রবচনের সার্থকতা প্রমাণ করে প্রতি বছর রমজান কেন্দ্র করে মুনাফাখোররা সক্রিয় হয়ে ওঠে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। রোজার দুই মাস বাকি থাকতেই রোজায় ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি পণ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে তারা। ছোলার ডাল কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা। বাজারে খেসারির ডাল প্রতি কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক মাস আগে ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। ডালের দাম বাড়ায় বেড়েছে বেসনের দাম। এক মাসের ব্যবধানে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে মুগডালের। যা প্রতি কেজি ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশে বর্তমানে খোলা চিনি প্রতি কেজি ১৪৫ ও প্যাকেটজাত ১৪৮ টাকায় আর লাল চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকা। এমনিতেই গত দেড় বছরে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ব্যাপকভাবে। রোজার দুই মাস আগে খেজুর, ছোলা, ছোলার ডাল, বেসনের দাম আরেক দফা বৃদ্ধি উদ্বেগজনক। এর ফলে রোজায় ভোগান্তির সম্মুখীন হবেন রোজাদাররা। দেশে সারা বছর যত ছোলা বিক্রি হয় তার সিংহভাগ হয় রোজার মাসে। খেজুরের ব্যবহার রোজায় বেড়ে যায় বহুগুণ। এ বাড়তি চাহিদাকে মনে রেখে ব্যবসায়ীরা নানা অজুহাতে রোজার সময় ইফতারে ব্যবহৃত পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। মুনাফাখোরদের সামাল দিতে নতুন সরকারকে সক্রিয় হতে হবে। এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা তাৎপর্যের দাবিদার। আমরা আশা করব, এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারের মন্ত্রীরা যা যা দরকার সবকিছুই করবেন।

সর্বশেষ খবর