বুধবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

বিদেশে অর্থ পাচার

ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে

দেশের অর্থনীতি যে সংকটের মধ্যে রয়েছে এ বিষয়ে সব মহলই একমত। অর্থনীতি ভালো না থাকার পেছনে বৈশ্বিক সংকট যে দায়ী সে বিষয়ে দ্বিমতের অবকাশ নেই। পাশাপাশি দায়ী অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাও। করোনাকালে মহামারির ছাপ পড়ে অর্থনীতিতে। মন্ত্রণালয়ের সঠিক সিদ্ধান্তের অভাব এবং কর্তাব্যক্তির নিষ্পৃহতায় মূল্যস্ফীতি ও মুদ্রাস্ফীতির অভিশাপ অনিবার্য হয়ে দাঁড়ায়। শুরু হয় হুন্ডির আগ্রাসন। বিদেশে অর্থ পাচারের মহোৎসব ডলার সংকটের উদ্ভব ঘটায়। দেরিতে হলেও সরকার অর্থ খাতের অব্যবস্থাপনার রাশ টেনে ধরার চেষ্টা করছে। অর্থ পাচারের ব্যাপারে নেওয়া হয়েছে কঠোর মনোভাব। সম্প্রতি ডলারের বাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাচার বন্ধে কঠোর নীতি অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে। একই সঙ্গে দেশ থেকে বিভিন্ন সময় পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ উদ্ধারের চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে রপ্তানি আয়ের অর্থ ঠিকমতো দেশে আসছে কি না, সেখানে আরও কড়া নজরদারি প্রয়োজন। প্রয়োজনে নীতি বা আইনকানুন পরিবর্তনেরও পরামর্শ দিয়েছে আইএমএফ। নতুন অর্থমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর অর্থ পাচার রোধ এবং পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। অর্থ পাচার রোধে কাজ করা বৈশ্বিক সংস্থা গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি (জিএফআই) বলছে, দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে না পারলে পাচার বন্ধ সম্ভব নয়। আর কোনো দেশের সরকারের সদিচ্ছা ছাড়া পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার করাও অসম্ভব। সংস্থাটি গত মাসের মাঝামাঝিতে বিদায়ী ২০২৩ বছরের কর্মকান্ডের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করেছে জিএফআই। সরকারের সদিচ্ছা যেহেতু অর্থ পাচার রোধের নিশ্চয়তা দেয় সেহেতু শুধু সিদ্ধান্ত গ্রহণ নয় বাস্তবায়নে কঠোর হতে হবে। অর্থ পাচারের সব ফাঁকফোকর বন্ধ করতে হবে। যারা ব্যবসা-বাণিজ্যের আড়ালে বিদেশে অর্থ পাচার করছে তাদের যেমন বাদ সাধতে হবে তেমন রেমিট্যান্স যাতে ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমে আসে তা নিশ্চিত করাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর